সামনেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব-সহ ৫ রাজ্যে হাইভোল্টেজ ভোট। কিন্তু সমীক্ষা অনুযায়ী, এই পাঁচ রাজ্যেই কেন্দ্রের উপর অসন্তোষের জেরে কমেছে বিজেপির জনপ্রিয়তা। কৃষক আন্দোলনের জেরে সবচেয়ে উত্তপ্ত পাঞ্জাবই। কেন্দ্রের পাশ করা তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আন্দোলনে উত্তপ্ত রাজধানী দিল্লির রাজপথ। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা,- সমস্ত প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে নিজেদের দাবিতে অনড় অবস্থান করে গিয়েছেন কৃষকরা। আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়েছে গোটা দেশের প্রতিটি কোনায়। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ছিলই। এবার সেই চাপে পড়েই যেন ভোটের মুখে তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে সেই কথাই জানালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
এরপরেই তাঁর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রতিক্রিয়ার বন্যা নেটদুনিয়ায়। আর এই ঘোষণার পরে সর্বাগ্রে কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “এতদিন যাঁরা বিজেপির নিষ্ঠুরতার সামনে মাথা নোয়াননি, এই জয় তাঁদের। প্রত্যেক লড়াকু কৃষককে আমার হার্দিক অভিনন্দন।” সকালবেলায় মোদী আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করতেই বিজেপি-কে খোঁচা দিয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর মতে, এই আইন প্রত্যাহার আসলে দেশের গণতন্ত্রের জয়েরই আরেকরূপ। তিনি বলেন, “দিল্লি সীমানায় গত বছর থেকে আন্দেলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বিজেপি সেই আন্দোলন ভাঙার অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারে নি। এটাই গণতান্ত্রিক শক্তি।” এর পরই বিজেপি-র উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, “সামনে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়েই বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন মোদী।”