পাখির চোখ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ঘর গোছাতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। তৃণমূলের গড়ে ভাঙন ধরাতে শুরু করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ফের শনিবার রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন দল থেকে পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন একাধিক মানুষ। এদিনের যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী সহ একাধিক নেতৃত্বরা।

এদিন রামনগরে এসে কৈলাস বিজয়বর্গীয় পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে চালচোর সরকার বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, আজকে রামনগরে বিজেপির সভায় উপস্থিত মানুষের আওয়াজ নবান্নের ইট নাড়িয়ে দেবে। সেইসঙ্গে আমফানে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা দুর্নীতি করেছে বলে তৃণমূলকে তোপ দাগেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, “যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থেকেও মা বোন, মেয়ের সম্মান রক্ষা হয় না, সেখানে এমন সরকার রাখার প্রয়োজন নেই। মা মাটির নামে বাংলার অপমান করছে মমতা সরকার। এই মাটিতে যদি বাংলাদেশের আতঙ্কবাদীরা ঢুকে থাকে, সেখানে বাংলা সুরক্ষিত কোথায়? মা, মাটি সুরক্ষিত নয়।” তাঁর কথায়, “অমিত শাহ দেশে সিএএ লাগু করতে চাইছেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী বহিরাগত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বহিরাগত, কিন্তু রোহিঙ্গা আতঙ্কবাদীদের আপনজন ভেবে কোলাকুলি করছেন, যাঁরা অস্ত্র পাচার করছে, ওরা আপনজন তাঁর কাছে। ” এদিন রামনগরের সভা থেকে নবান্ন দখলের ডাক দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপি এলে আত্মনির্ভর বাংলা গড়ার আশ্বাস দেন তিনি।

পাশাপাশি বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে বেঁধেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “যে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম মমতা ব্যানার্জীকে নবান্নের চেয়ারে বসিয়েছিল সেই সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে সিংহাসন থেকে নামিয়ে বিজেপির সরকার গড়ে দেবে। বাংলায় চপ ও বোমা শিল্প ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। হস্তশিল্প হিসেবে বোমা বাঁধা চলছে। বাংলাকে পাকিস্তান করো তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

তবে যোগদানের মাধ্যমে তৃণমূল নেতৃত্বের অধিকারী গড়ে বিজেপির শক্তি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিকে যখন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চাপে দল। তখন সেই অধিকারী গড়েই পদ্মফুল ফোটাচ্ছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মুখে যেভাবে অধিকারী গড়ে ভাঙন ধরাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তাতে যে বেশ চাপে রয়েছে ঘাসফুল শিবির তা বলাই বাহুল্য।