ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে বিধ্বস্ত সুন্দরবন ও দুই মেদিনীপুর। ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে ভেসেছে কয়েক হাজার গ্রাম। ভেঙেছে ১৩৪টিরও বেশি বাঁধ। ভেঙে পড়েছে ৩ লক্ষাধিক কুঁড়েএ ঘর।ঘর ছাড়া প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১কোটির কাছাকাছি। ঝড়ের তান্ডব চলাকালীন নবান্নের কন্ট্রোল রুমেই রাত জেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়।এবার সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে উড়ে যাবেন মমতা। শুক্রবারই আকাশপথে সাগর, হিঙ্গলগঞ্জ ও দিঘা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগর এবং দিঘাতে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার দুপুরে নবান্নে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের কথা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান “মোট ১৫ লক্ষ ৪ হাজার ৫০৬ জনকে সরানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও প্রায় এক কোটি মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিন লক্ষ বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ১৩৪ বাঁধ ভেঙেছে। কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাছেরও ক্ষতি হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে ১০ লক্ষ ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। ১০ কোটি চাল ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।” পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে ক্ষতগ্রস্তদের সম্পুর্ন সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।