পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। কড়া হাতে সংগঠনের রাশ ধরতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে দলের বৈঠকে সেই কঠোর বার্তাই তিনি দিয়েছেন নেতাদের। সংগঠনের কাজ সামলাতে এবার দলের সর্বময় নেত্রী হিসেবে মমতা বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব বিভিন্ন নেতার মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট নেতাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘পর্যবেক্ষক’ বলা হচ্ছে না। ঘোষণামতো এখন থেকে অরূপ বিশ্বাস দার্জিলিং এবং পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশিই নদিয়া জেলারও সংগঠন দেখবেন। নদিয়ায় দলীয় সংগঠন দুর্বল হচ্ছে জানিয়ে জেলানেতৃত্বকে সতর্কও করেন মমতা।
অতীতে ফিরহাদ হাকিম দেখতেন হাওড়া এবং হুগলি জেলা। তিনি সেই দায়িত্ব ফিরে পেলেন। তাপস রায় দেখবেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। মলয় ঘটকের হাতে গেল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। আগেই মমতা ঘোষণা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে থাকায় তিনি নিজেই বীরভূম জেলার সংগঠন দেখবেন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরেক মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে। বাকি জেলার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও সভাপতিরাই সংগঠন দেখবেন বলে শুক্রবারের বৈঠকে জানিয়েছেন মমতা।
জেলায় জেলায় দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তৃণমূল সুপ্রিমো জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। রবিবার তাঁর জেলা বৈঠকের শুরুতেই মুর্শিদাবাদ। এদিন ভাঙন প্রশ্ন উঠতেই ভার্চুয়াল বৈঠকে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দলের ১৯ বিধায়ক ও দুই সাংসদকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের দলীয় অফিসে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সাওনি সিংহ রায় উপস্থিত ছিলেন এই টেলিফোনিক বৈঠকে।
সূত্রের খবর, এদিনের ভার্চুয়াল সভায় খলিলুর রহমান প্রথমেই বলেন,”আমাদের সম্মানহানি হয়েছে দিদি। সংবাদমাধ্যমে আমাদের সম্বন্ধে বাজে খবর করেছে। সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল ক্ষোভ শোনা যায় মমতার গলাতেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেস সিপিএম ও বিজেপি যৌথভাবে একটা চক্রান্ত করে এইসব কাজ করছে। আমি কোনও কিছুই তোমাদের সেই ভাবে বলিনি। অথচ একশ্রেণীর মিডিয়া এই কাজ করেছে।”