কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনে প্রথম গ্রেফতার। খুনের ১৯ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতারি। পানাগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তবে এই খুনের সঙ্গে তিনি কীভাবে যুক্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জানা যাচ্ছে, অভিজিৎ পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা। তদন্তের স্বার্থে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড চষে বেরিয়েছেন আধিকারিকরা। রাজু ঝা খুনের তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়। তদন্তকারীরা বিহাড়, ঝাড়খণ্ডে গিয়েও তল্লাশি চালান। এমনকি এই খুনের নেপথ্যে উত্তরপ্রদেশের গ্যাঙস্টারও জড়িত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন। কিন্তু এসবের পরেও অভিযুক্ত এতদিন পানাগড়েই আত্মগোপন করলেন, অথচ টেরই পেলেন না দুঁদে কর্তারা? তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
রাজু ঝা খুনে হাজারিবাগ সংশোধনাগারে গিয়ে গ্যাংস্টার আমন সিংকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। জেলে বসেই তিনি সুপারি দিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়েও সন্ধিহান ছিলেন তদন্তকারীরা। সংশোধনাগারের প্রবেশ ও বাহির পথের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত এগোচ্ছিল। কিন্তু নিট ফল সেভাবে হাতে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে এই গ্রেফতারি।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন এদিন জানিয়েছেন, ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল দুর্গাপুরের বাসিন্দা ছিল। সে দুর্গাপুরেই একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতো। তবে এই খুনের ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র কী ? মোটিভ কী ছিল ? সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের পৈতৃক বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে। কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে এসে ছিল বলেই খবর। এই অভিজিৎ কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝার পূর্ব পরিচিত কিনা, রাজু ঝার সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে। রাত ৮ নাগাদ রাস্তার ওপরেই প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়। একটি সাদা ফরচুনা গাড়িতে চালকের পাশের আসনে ছিল রাজু। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, একটি নীল গাড়ি এসে সাদা গাড়িটির পিছনে থামে। এরপর গাড়িটি থেকে তিনজন বেরিয়ে এসে রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।