মহামারীর আবহে হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। বাড়ছে ভিড়ও। এবার এই সমস্যাই ইতি টানতে পুজোর পর থেকেই মেডিক্যাল কলেজে চালু হতে চলেছে ‘স্পেশ্যালিস্ট ওপিডি’। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ব্যবস্থা রোগী পরিষেবাকে আরও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হবে বলেই স্বাস্থ্যভবনের অভিমত। বাড়ির নিকটস্থ কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের মাধ্যমে লগইন করে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোগী-চিকিৎসক কথোপকথনও সম্ভবপর। চিকিৎসক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা শুনে প্রেসক্রিপশন ইমেল করবেন। সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্স সেই প্রেসক্রিপশনের হার্ড কপি দেবেন, সঙ্গে ওষুধও। বস্তুত এভাবেই রোগীর ভিড় সামাল দেওয়ার যৌথ প্রচেষ্টা চালানো হবে। এই প্রযুক্তিই এবার যুক্ত হবে মহানগরের মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও।
গত তিন মাসে হাওড়া, হুগলিসহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তৈরি করা হয়েছে কমিউনিটি হেলথ সেন্টার। এই মুহূর্তে এ রাজ্যে হেলথ সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ২,৪০০। অন্তত চার হাজার কমিউনিটি হেলথ অফিসার বা নার্সকে যুক্ত করা হয়েছে এই হেলথ সেন্টারগুলিতে। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে রোগী এলে সেখান থেকেই নিকটবর্তী হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে রোগের উপসর্গ নিয়ে কথা বলে প্রেসক্রিপশন দেন সেই চিকিৎসক। স্বাস্থ্যভবনের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার রোগীকে এইভাবে চিকিৎসা করা সম্ভবপর হয়েছে। কমিউনিটি হেলথ সেন্টার থেকে ওষুধ প্রদানের ব্যবস্থাও রয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের বক্তব্য, এবার এই ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কলকাতাসহ সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এই পদ্ধতির জন্য পৃথক সফটওয়্যার তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। পুজোর পরে আরও নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে এই কাজে যুক্ত করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।