করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের নাজেহাল গোটা বিশ্ব। গত সাত মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এইমসের ডিরেক্টর রণদীপপপ গুলেরিয়া স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সতর্ক করে বলেছেন যে ,সংক্রমণ চলতি মাসের শিখরে উঠতে পারে। বিশেষত করোনার প্রথম সংক্রমণ এড়ানোর জন্য ভ্যাক্সিনেশন শুরু করা হয়েছিল বিপুল জনসংখ্যায়।এই সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে ভ্যাকসিনেশন বা টিকাকরণ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ডাঃ গুলেরিয়া কোভিড -১৯ ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স ফর ম্যানেজমেন্টের সদস্য। তার পরামর্শ মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এড়াতে এই মুহূর্তে গোটা দেশে মিনি-লকডাউন প্রয়োজন।শুক্রবার তিনি দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অল্প বয়সী মানুষের জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা করার ।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ২৪৯ জন।যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার বেশি।ফলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৫১৩ জন। যা গত বছর ডিসেম্বর মাসের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটাই কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৯৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ ২৯ হাজার ২৮৯ জন।ভারতে এই মুহূর্তে মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ। গত একদিনে দেশে যত সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এর মধ্যে ৮১.৪২ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং মধ্যেপ্রদেশ এই ৮টি রাজ্য থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।