বিগত কয়েক দিন যাবত নিম্নচাপ ও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কার্যত জলমগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক এলাকা। অন্যদিকে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জলমগ্ন এগরা, পটাশপুর ও ভগবানপুর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের সাথে সাথে প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এদিন তিনি মুখোমুখি হয়ে জানান, যেসকল জায়গায় অতি বৃষ্টির ফলে বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছে সেই সকল জায়গাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং বাঁধ সারাইয়ের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। সৌমেন মহাপাত্র জানান, বন্যায় যে সকল মানুষ ও একাধিক মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তরফ থেকে।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি তৃণমূল সরকারের ভুয়সী প্রশংসা করে তিনি জানান, এই বন্যা পরিস্থিতি ঠেকাতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে আগামী দিনে ক্ষতির পরিমাণ লিপিবদ্ধ করে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী। এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, বাঁধ নির্মাণের কাজে কেন্দ্রের তরফ থেকে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও সেই টাকা এখনও দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্যে তিনি দায়ী করেছেন অবৈধ ভেঁড়িগুলিকেও। সৌমেন মহাপাত্র জানান, বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই এই অবৈধ ভেঁড়িগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।