স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনেকটাই এগিয়ে ভারত । ইতিমধ্যেই কোভিডের ভ্যাকসিন প্রস্তুত করে ভারত শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে । তবে, করোনা অতিমারিতে শিক্ষা পেয়েছে ভারত, তাই পরবর্তী মহামারীর জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছে নিজেকে, তৈরি হচ্ছে মোবাইল হাসপাতাল। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন দেশগুলির ক্ষেত্রে সাধারণত স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অর্থগুলি অন্যান্য খাতে ব্যবহৃত হয়ে যায়। ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেনা একটুও ।
করোনা আবহে একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারা গেছে ,ভারতে প্রতি হাজার ব্যক্তির মাথাপিছু ১.৪ টি করে বেড বরাদ্দ, যা সাধারণত অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম, চীনে প্রতি হাজার জন পিছু চারটি করে বেড বরাদ্দ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, আমেরিকা ও ব্রিটেনে এর সংখ্যা ৩টি। থাইল্যান্ড, ব্রাজিলে ১০০০ জনের জন্য ২টি করে বেড রয়েছে। ভারতে বিহার, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ, অসমে বেডের সংখ্যা খুব কম।

স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতার বিষয়। করোনা আবহে বিশ্ব যখন নাজেহাল, সেই পরিস্থিতিতে রেলের কামরা গুলিকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বকে একটি নতুন দিশা দেখিয়েছে ভারতবর্ষ। আর সেই দেশ আরও একটি নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোবাইল হাসপাতাল বানানোর মাধ্যম়ে । সাধারণত এই মোবাইল হাসপাতালগুলি শিপিং কন্টেনার দিয়ে প্রস্তুত করা হবে, এবং এগুলোকে দেশের এমন জায়গায় রাখা হবে যেখান থেকে দেশের যা কোন প্রান্তে দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব। দুটি মোবাইল হসপিটালের খরচ বহন করবে ‘প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর স্বচ্ছ্ব ভারত যোজনা’ । এই দুটি হসপিটাল নয়াদিল্লি ও চেন্নাইতে রাখা হবে।