বাংলায় পরপর তিনবার ক্ষমতায় এলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই শপথ গ্রহণ করলেন তিনি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ গ্রহণের পর অভিনন্দন জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । পাশাপাশি তিনি বলেন,’তৃতীয়বারের মতো শপথ গ্রহণ করতে চলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক অভিনন্দন।’ ওদিকে শপথ গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। তিনি বলেন, ‘ আশা রাখব সংবিধান মোতাবেক কাজ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আজ তৃতীয়বারের মতো শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয় বাংলাদেশের তরফে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্প্রিতির ভূমিকা উল্লেখ করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানালেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন। জানা গেছে ডক্টর মোমেনের এই অভিনন্দন বার্তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার। ইতিমধ্যেই ডক্টর মোমেনের অভিনন্দনবার্তার কিছুটা অংশ তুলে ধরা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা, সেখানে জানানো হয়েছে একজন বাঙালি হিসেবে বাঙালির দীর্ঘলালিত মূল্যবোধ ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং ভাতৃত্ববোধ ধারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই জন্য কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ।
আজ এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্প্রীতির কথা তুলে ধরেন তিনি, পাশাপাশি জানানো হয় তাঁর বাল্যকালের ইতিহাস। বলেন, কলকাতার সঙ্গে এই বঙ্গবন্ধুর আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে। ছাত্রাবস্থায় কলকাতায় দীর্ঘকালীন সময় কাটিয়েছেন তিনি।এদিকে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমবঙ্গে ফের সরকার গড়তেই, জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের তরফ থেকে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় ৫০ বছরে পদার্পণ করল।তবে আজও তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না এই চুক্তির বাস্তবায়ন। কারণ তিনি মনে করেন , গ্রীষ্মকালে তিস্তার জল কম থাকে তাই সেই জল কোনো ভাবেই বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব নয়। তবে এই বিষয়ে আরও একবার বিবেচনা করে দেখার কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।