করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই । এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফার বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ৮ মে ভারত-ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সম্মেলনে যোগ দিতে পর্তুগাল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সেই সম্মেলনে ‘ব্রড-বেসড ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এগ্রিমেন্ট’ নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে নয়াদিল্লি, সেখান থেকেই তাঁর ফ্রান্সে যাওয়ার কথা রয়েছে। ২০১৯ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরঁর আমন্ত্রণে জি-সেভেন সম্মেলনে অংশ নিতে শেষবার ফ্রান্সে গিয়েছিলেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সেই সম্মেলনের আগে চুক্তির খুঁটিনাটি নিয়ে কূটনৈতিকস্তরে বৈঠক করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এছাড়া চলতি মাসেই বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডমব্রোভস্কির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
চিনের চোখ রাঙানির মাঝে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। যদিও মোদির ফ্রান্স যাত্রার আগেই ফরাসি বিদেশমন্ত্রী জিন-ইয়ভেস লে ড্রিয়ান ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল ভারত সফরে আসছেন। এই সফরের মূল লক্ষ্য ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার জন্য উভয়পক্ষের নৌবহরের অত্যাধুনিক কৌশল রপ্ত করার উদ্দেশ্যে কোয়াড নৌ মহড়ায় ভারতের সঙ্গে উপস্থিত থাকছে ফ্রান্সের যুদ্ধজাহাজও । ৫ থেকে ৭ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরে এই নৌ মহড়ায় ভারত, ফ্রান্স ছাড়াও অংশ নিতে চলেছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ফরাসি লড়াকু বিমান রাফালে আসছে ভারতে। বঙ্গোপসাগরের নৌ মহড়ায় সেগুলি অংশ নেবে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।
শুধু ফ্রান্সই নয়, ব্রিটেন-সহ ইটালি, ডেনমার্কের মতো একাধিক দেশের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে তৎপর ভারত। আগামী ২৬ এপ্রিল যৌথ সুসম্পর্ক গঠনের উদ্দেশ্যে ভারতে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এবারের ১১ থেকে ১৩ এপ্রিলে আয়োজিত জি-7 সম্মেলনে অংশ নিতে ব্রিটেন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম বাণিজ্যসঙ্গী হলেও অটোর সরঞ্জাম, তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত সফটওয়্যার, মদ জাতীয় পানীয়ের দাম নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।