দিল্লি সফরে গিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বিঘ্নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ সারলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় মিনিট ৪০ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। রাজ্যের বকেয়া প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা চাওয়ার পাশাপাশি বিএসএফের বাংলায় ক্ষমতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। সেই টাকা দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। এছাড়া ইয়াস-আমফান-সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের টাকাও বকেয়া রয়েছে, সেই টাকাও চেয়েছি। প্রাপ্য টাকা না পেলে রাজ্য চালাব কী করে? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
বাংলার সীমান্তে বিএসএফের কাজের ক্ষেত্র ও ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এদিন অভিযোগ জানান মমতা। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীর জানান, “বিএসএফ আমাদের বন্ধু; ওঁরা সীমান্তে কাজ করে। কিন্তু ওঁদের ক্ষমতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত সমস্যা হয় অনেক সময়।” এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি টেনে আনেন বিএসএফের গুলি চালানোর ঘটনাও। এর পরই তিনি বলেন, “দেশে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো আছে। তার অহেতুক অবনতি করা ঠিক নয়। বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির আইন প্রত্যাহার করুন।” যদিও এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি বলেই জানিয়েছেন মমতা।
এছাড়াও এদিন বৈঠকে ২০২২-এর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানালেন, তাঁর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বঙ্গের এই শিল্প সম্মেলনে আসতে আগ্রহী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “রাজ্যের উন্নতি হলে তবে কেন্দ্রের উন্নয়ন হবে। রাজনৈতিক দূরত্ব থাকবেই। কিন্তু উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করা উচিত।”