গতকাল উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই দেখা যায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই ফের লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে বিজেপি- বিরোধী শিবিরের যোগ্যতম মুখ হিসাবে মমতাকে তুলে ধরে প্রচার শুরু করলেন দলের নেতারা। জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে বিজেপি- বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ কে এই নিয়ে টানাপড়েন ছিলই। বিশেষ করে বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে দলের অভাবনীয় সাফল্যের পরে প্রকাশ্যে সেই জোটের নেতৃত্ব দাবি করতে শুরু করেছে তৃণমূল। এ দিন ফল ঘোষণার পরে ভারতের সমস্ত রকমের মানুষের কাছে তাঁদের সেই গ্রহণযোগ্যতার দিকে ইঙ্গিত করে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভবানীপুরে ৪৬ শতাংশ অবাঙালি ভোটার। আমি সব ভাষাভাষির ভোট পেয়েছি। এখানে গুজরাতি, মারওয়াড়ি, বিহারি, ওড়িয়া ভাষী লোক আছে।” ভবানীপুরে যে ওয়ার্ডগুলি অবাঙালি অধ্যুষিত বলে চিহ্নিত, সেগুলিতেও তাঁর জয়ের কথা আলাদা করে বারবার উল্লেখ করতে দেখা যায় তাঁকে।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন মোদী বিরোধী প্রধান মুখ প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপিকে মমতা শুধু হারাননি, তাদের জায়গাও ছোট করে আনতে পেরেছেন। আমরা যে কথা বলেছি ভবানীপুরে সব ভাষা, ধর্মের মানুষ তাতে সিলমোহর দিয়েছেন। তাই বিরোধী জোটের নেতৃত্বে মমতা প্রশ্নহীন।” অপরদিকে জাতীয় রাজনীতিতে দৃষ্টি আকর্ষন করে ফিরহাদ হাকিম বলেন,”এই ঝড় থেকেই মোদী- বিরোধী যাত্রা শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” কিন্তু তৃণমূলের এই প্রচারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্য বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হতে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাবেন, তাঁকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে এতটাই জনপ্রিয় যে, ওঁর ( মমতার) যাত্রা দ্বিতীয় স্থান থেকে শুরু হবে। তার পর সেটা তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান— কোথায় শেষ হবে, তা জানি না।”