আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ‘ছাত্র সমাজ’ নামে এক অরাজনৈতিক সংগঠন। এদিন আবার ইউজিসি-নেট পরীক্ষা রয়েছে। এই অবস্থায় শহরে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা করছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরিবহণ দফতর বিশেষ নির্দেশ জারি করেছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, পরিবহণ দফতরের সমস্ত স্তরকে উদ্যোগ নিতে হবে যাতে শহর কলকাতার গণপরিবহণ সচল থাকে। নিত্যযাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সরকারি বাস, ট্রাম, ফেরি সার্ভিসের অতিরিক্ত শিফটে যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার পাশাপাশি যাতে হাওড়া শহরকেও সচল রাখা যায়, সেজন্য হাওড়ার পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কারণ বহু নিত্যযাত্রী হাওড়া দিয়ে কলকাতায় আসেন। আবার কলকাতা থেকেও বহু যাত্রী ট্রেন ধরতে হাওড়ার উদ্দেশে যান। সেক্ষেত্রে তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সেজন্য অতিরিক্ত বাসের বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
একই সঙ্গে মঙ্গলবার যাতে পর্যাপ্ত বেসরকারি বাস রাস্তায় নামে, সেজন্য পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে বেসরকারি বাস সংগঠনগুলিরও। এছাড়া ট্যাক্সি, অটো, অ্যাপ ক্যাব যাতে রাস্তায় স্বাভাবিকভাবে চলচল করে সেজন্য নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন পরিবহণ দফতরের উচ্চপদস্থ অফিসাররা।
নবান্নে প্রতিবাদ অভিযানের সময়ে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে বা গাড়ির ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পরিবহণ দফতরের তরফে। পাশাপাশি ‘সিটি সাবার্বান সার্ভিসে’র সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা স্পষ্ট জানিয়্রছেন, ‘পরিস্থিতি যেমনই হোক, সাধারণ মানুষকে পরিষেবার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করব।’