গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের বকখালিতে ট্রলারডুবির দুর্ঘটনায় উদ্ধার আরও ৯ টি মৃতদেহ, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ সংখ্যা ১। জানা যাচ্ছে দীর্ঘ তল্লাশির পর গতকাল মধ্যরাতে ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়াতে দেহগুলি তোলা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উদ্ধার করার পরে ট্রলারের কেবিনে এই ৯ টি লাশ পাশাপাশি দেখা যায় । দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটির নাম এফবি হৈমাবতী। স্থানীয় সূত্রে খবর মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা নামখানার হরিপুর, মহারাজগঞ্জ, পাতিবুনিয়ার বাসিন্দা। গতকাল রাত্রেই এই ঘটনার উদ্ধারকার্য পরিদর্শনে ফ্রেজারগঞ্জে যান সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও সুন্দরবনের পুলিশ সুপার। আজ এই মৃতদেহগুলো শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ছিলেন ১২ জন মৎসজীবি। সঙ্গী ছিল এই এফবি হৈমাবতী নামক ট্রলারটি। জানা যাচ্ছে গতকালই সময় মত ফিরে আসার কথা ছিল তাঁদের। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ট্রলারডুবির খবর এসে পৌঁছায়। পাশাপাশি গতকাল পর্যন্ত নিখোঁজ সংখ্যা ছিল ১০ । পরিবারের সদস্যের ফেরাআর না ফেরার দোলাচলের মধ্যেই ছিল মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলি । তবে উদ্ধারকার্য শুরু হওয়ার পরে নিরাশ হতে হল নটি পরিবারকে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। মৎস্যজীবীদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ১। এমনই এক নিখোঁজ মৎস্যজীবীর আত্মীয় কাবেরী মণ্ডল গতকাল জানিয়েছেন, “আমরা বাড়িতে কাজ করছিলাম। ভাইয়ের আসার কথা ছিল। হঠাৎ ফোন ট্রলার উল্টে গেছে একবার বলছে এটাতে ছিল না, অন্য ট্রলারে। আমরা অপেক্ষা করছি।”