একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে যেন মেলা বসেছে তারকাদের। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জোয়ার লেগেছে টলিউড জুড়ে। সেই জোয়ারে ভেসে এই নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়। বহুদিন যাবৎ টলিউডের কোনো ছবিতেই দেখা যায়নি তাঁকে। দীর্ঘ ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে খুব সামান্য কটি সিনেমাই আছে তাঁর ঝুলিতে।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন তিনি। সেই কারণেই হিসেব মেনে নিজের সমস্ত সম্পত্তির হিসেব দিতে হয়েছে তাঁকে নির্বাচন কমিশনে। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই চোখ ছানাবড়া সবার। বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার লোন রয়েছে তাঁর। হাতে নগদ বলতে মাত্র ৪৩হাজার ১২৭টাকা। সল্টলেকের লাবনী এস্টেটে থাকেন অভিনেত্রী। তাঁর নামে মোট ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলেও তারমধ্যে চারটি অ্যাকাউন্ট একেবারেই শুন্য। বন্ধন ব্যাঙ্কের যৌথ অ্যাকাউন্টে ৩৪ হাজার ৭৯৬ টাকা রয়েছে সায়ন্তিকার। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে রয়েছে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা। অপর একটি ব্যাঙ্কে পড়ে রয়েছে মাত্র ১ টাকা। অথচ তিনিই কয়েক বছর আগে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ কেনেন যার দাম প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা।
এই গাড়ি কিনতে গিয়ে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৯১ টাকা গাড়ি ঋণ নিয়েছেন সায়ন্তিকা। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৮ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ নিয়েছেন। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে বাকি রয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৯৭ টাকা। এমনকি ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকার জিএসটিও জমা দেওয়া বাকি সায়ন্তিকার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সায়ন্তিকার মোট আয় ১১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬০ টাকা।
রীতিমতো মিছিল করে ব্যান্ড বাজিয়ে তৃনমূলে যোগ দিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাঁর এই ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থার কথা সামনে আসতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে নিজের শুন্য ভান্ডার ভরাতেই রাজনীতিতে সায়ন্তিকা, প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।