আদানি ইসুতে যখন দেশজুড়ে জোর চর্চা ঠিক সেই সময় মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর মতে, আদানি ইস্যু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রভাব ফেলবে না। তিনি আরও বলেন, ‘পাবলিক সেক্টরের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে তথ্য দিয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে আদানির কাছে সীমিত এক্সপোজার রয়েছে, এবং গোটা ঘটনা খুব বেশি প্রভাবিত করবে না। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং জীবন বীমা নিগমের বিস্তারিত বিবৃতি অনুযায়ী আদানি গ্রুপে খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করেনি তারা, আর তারা জানিয়েছে এখনও লাভজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে সবকিছু।’ অন্যদিকে আদানি গ্রুপের লাগাতার শেয়ার পতন ভাবাচ্ছে আমজনতাকে।

এদিন আদানি গোষ্ঠীতে এসবিআই এবং এলআইসি-র বিনিয়োগ নিয়েও আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘আদানি বিতর্কে এসবিআই এবং এলআইসি-র পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা বিবৃতি জারি করা হয়েছে৷ আদানিদের সংস্থায় এলআইসি এবং এসবিআই-এর বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার মধ্যেই রয়েছে৷ আর দুই সংস্থাই লাভজনক অবস্থায় রয়েছে৷’
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ব্যবসার সাম্রাজ্য নড়ে গেল মাত্র ৯ দিনে। ভারতের শেয়ারবাজারে ধসের আঁচ পড়ল সংসদেও। এখনও পর্যন্ত ১২৪ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি খুইয়েছেন তিনি। গত মাসের মাঝামাঝি সময়েও যা ছিল ৬১ বিলিয়নের সামান্য বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, এটাই নাকি রেকর্ড ক্ষতি সংস্থার। এর আগে ৩১ জানুয়ারি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ জনের মধ্যে থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। এরপর ফেব্রুয়ারির তিনদিনের মধ্যেই আরও পিছনে চলে গেলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থার রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর হৃদকম্পন বেড়েছে। দীর্ঘ ৪০০ পাতার রিপোর্টে আদানিদের শেয়ার হু হু করে পড়েছে। সম্পত্তি কমেছে অনেকটা। আর সেই তালিকায় অনেকটা পিছু হঠেছেন গৌতম আদানি। আদানি গ্রুপের এই লোকসানের জেরে ধুঁকছে তাদের শেয়ার হোল্ডার সংস্থাগুলি। এদিকে, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী এমএল শর্মা।