সাতদিন অতিক্রান্ত। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় ক্রমবর্ধমান অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা। অজানা জ্বরের উপসর্গ নিয়ে কয়েকশো শিশু ভর্তি রয়েছে জলপাইগুড়ি সূপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২১ আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৩০। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে এক। সঙ্কটজনক অবস্থা আরও ৩ জনের,তাদের রেফার করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু ৭ দিন কেটে গেলেও কোনো হেলদোল নেই স্বাস্থ্য দপ্তরের। কারণ অনুসন্ধানের জন্য কোনো মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়নি জেলায়। শিশুদের রোগ ম্যানেজমেন্টের জন্য নিযুক্ত চিকিৎসক এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ। এদিকে সূত্রের খবর স্কুল ওফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগে নমুনা পাঠানো হয়েছে,কিন্তু এত দেরিতে কেন! আবারও কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দপ্তর।
উল্লেখ্য নতুন কোনো ভাইরাসের উদ্ভব হলে কেন্দ্রের সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে তার মোকাবিলায়। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের ঔদাসীন্য চোখে পড়ায় হতাশ উত্তরবঙ্গবাসী। জলপাইগুড়ির চিকিৎসক অরুণ সিংহ বলছেন,মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনের তরফে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।জলপাইগুড়িতে ধুম জ্বরে আক্রান্ত একাধিক শিশু। অনেকেই জ্বরের ঘোরে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। শারীরিক উপসর্গ বলতে , পেটে ব্যাথা আর বমি।এদিকে আসন্ন অক্টোবরে শিশুদের উপর পড়তে পারে করোনার ঘা যার জেরে বেশ চিন্তায় দিশেহারা শিশুদের পরিবার।