কুণালের ট্যুইটের পরেই পার্থর চাঞ্চল্যকর দাবি, সবই কি কাকতালীয়? এম ভারত নিউজ

Mbharatuser

পার্থর এই মন্তব্যের ঠিক কিছুক্ষণ আগেই কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে জানান…….

0 0
Read Time:3 Minute, 37 Second

আদালতে ঢোকার আগেই সরব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একের পর এক হেভিওয়েটের নাম নিয়ে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুজন চক্রবর্তী এমনকি বাদ গেলেননা দিলীপ ঘোষও। কি দাবি করেছেন পার্থবাবু? তিনি বলেন,’সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা নিজের দিকে দেখুন, উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন! তাঁরা ২০০৯-১০ এর CAG রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছে। যেহেতু আমি তাদেরকে বলেছি করতে পারবনা, আমি নিয়োগকর্তা নই, আমি এ ব্যাপারে সাহায্য তো দূরের কথা, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না। শুভেন্দু আধিকারীর ২০১১-১২ সালটা দেখুন না ! ডিপিএসটি-টা দেখুন না কি করেছিল তাঁরা’।

এছাড়াও তিনি দাবি করেন, তিনি নিয়োগকর্তা নন ফলে তিনি মন্ত্রী ছিলেন এবং দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রীত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি দলের সঙ্গে রয়েছেন বলেও জানান তিনি সাংবাদিকদের। তবে এই মন্তব্যের পেছনেও রয়েছে রহস্য!

পার্থর এই মন্তব্যের ঠিক কিছুক্ষণ আগেই কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে জানান, সুজন, দিলীপ এবং শুভেন্দু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চাকরির সুপারিশ করেছিলেন। আর তার প্রায় ২০-২৫ মিনিটের মাথায় পার্থবাবুর মুখেও একই সুর শোনা গেল আজ। যদিও এই ঘটনাকে একেবারেই কাকতালীয় বলে দাবি করেন কুণাল।

আর এই মন্তব্যের জেরেই আরও জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে পার্থবাবুর দাবীকে ভুল প্রমাণিত করতে পালটা সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘পার্থবাবু যেটা বলেছেন সেটা শেখানো কথা। উনি কি বলতে চেয়েছেন তা কেউ বুঝতে পারছেনা। ২০০৯-১০ সালের কথা উনি বলছেন তখন ক্ষমতায় সুজনবাবুরা ছিলেন, ওনার তাতে কি যায় আসে। ওনার কাছে কেউ কেন যাবে উলটে ভাবতে হবে উনি সুজনবাবুর কাছে সুপারিশ করেছিলেন। এটা একটা চক্রান্ত।’ এমনকি দিলীপ ঘোষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘উনি যদি বলতে পারেন আমি ওনার সঙ্গে দেখা করে কারও বিষয়ে সুপারিশ করেছি তাহলে জেলে ওনার পাশের ঘরে আমি থাকব।’

আরও পড়ুন

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Next Post

তিহারে অনুব্রত, বীরভূম নিয়ে কালীঘাটে বিশেষ বৈঠক মমতার। এম ভারত নিউজ

দলের সমস্ত কর্মকাণ্ড থেকে প্রত্যক্ষভাবে বিরত থাকলেও অনুব্রতকে দলের সভাপতির পদ থেকে সরাননি মমতা

Subscribe US Now

error: Content Protected