জাতীয় সুরক্ষার কথা উল্লেখ করে প্রকাশ্যে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ করল শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীসভা। গত মার্চে সেদেশে জননিরাপত্তা মন্ত্রী সারথ বীরাসেকেরা সই করেছিলেন একটি বিলে। মহিলাদের শরীর ও মুখ ঢাকা পোশাকগুলি নিষিদ্ধ করার জন্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল সেই বিলে। সেইমত গতকাল, শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রকাশ্যে সমস্ত রকমের মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করা হবে। মন্ত্রীসভার মুখপাত্র ও তথ্যমন্ত্রী কেহেলিয়া রামবুকভেলা ‘বোরখা’ শব্দটি উল্লেখ না করেই সংবাদমাধ্যমকে জানান এই সিদ্ধান্তের কথা। তিনি বলেন , “ইস্টার রবিবারে হোটেল এবং গীর্জায় সমন্বিত সন্ত্রাসী হামলার দুই বছর পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সমস্ত ধরণের মুখ ঢাকা পোশাক জাতীয় সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক এবং হুমকিস্বরূপ”।
তবে করোনা মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। বোরখা আর নিকাব নিষিদ্ধ হলেও এখনও পর্যন্ত আইনে পরিণত হয়নি এই বিল। তা হতে লাগবে সংসদের অনুমোদন। গতমাসে, শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সাদ খট্টক সেদেশে বোরখা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “সুরক্ষার নামে এই ধরণের ‘বিভাজনমূলক পদক্ষেপ কেবল মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে না, দ্বীপপুঞ্জে সংখ্যালঘুদের মৌলিক মানবাধিকার সম্পর্কে বিস্তৃত আশঙ্কাকেও জোরদার করবে।” ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বীরসেকেরা লেখেন, “মন্ত্রিপরিষদ বোরখা সহ সকল মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কায় ২২ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৯ % মুসলিম। ৭০% বৌদ্ধ । তবে সেখানে জাতিগত সংখ্যালঘু তামিলরা, যারা মূলত হিন্দু, যা প্রায় ১২ %এবং খ্রিস্টান জনসংখ্যার বিচারে ৭ %।