দেড় মাস ক্লাসের পরেও ভর্তি বাতিল রবীন্দ্রভারতীতে ! এম ভারত নিউজ

Mbharatuser
0 0
Read Time:3 Minute, 57 Second

নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : সমাজে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। এবারও ব্যতিক্রম হলো না। প্রতিবারের মতো এবারও দশজন ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা হতে দেখা গেল। রবীন্দ্রভারতীর দশজন পড়ুয়ার ভবিষ্যত এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে।
ভর্তি হয়ে ক্লাস করাও শুরু গিয়েছিল তাঁদের। দেড় মাস ক্লাসের পর তাঁরা জানতে পারেন, যে কোর্সে তাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা সেই কোর্সের যোগ্যই নন।
হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি বাতিলের অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
রীতিমতো মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়ম মেনে ভর্তি হন দশ জন ছাত্র-ছাত্রী। এরপর ২ ডিসেম্বর তাঁদের সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনের সময় ফ্যাকাল্টি সেক্রেটারীর তরফে জানানো হয় তাঁদের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। এমন আবস্থায় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে বাতিল হওয়া পড়ুয়াদের ভবিষ্যত।
এক ছাত্রী জানান যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে লেখা আছে স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের দুই বছরের মধ্যে কোর্সের জন্য আবেদন করা যাবে। স্নাতকের পর ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১সালের মধ্যে ভর্তির আবেদন করতে হবে। বিতর্কের কারণ হলো, বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া স্নাকোত্তর শব্দটি নিয়ে। ছাত্রীটি আরও জানান যে যাঁরা ২০১৯ এর আগে স্নাতক স্তরে পাশ করে ২০২১ এর মধ্যে স্নাকত্তোর বিষয়ে পড়াশোনা করেছে, তাঁরা তাঁদের ভর্তির সময় অ্যাপলিকেশন ফর্মে তার উল্লেখও করেছেন। কিন্তু ২ ডিসেম্বর থেকে তা গ্ৰাহ্য করা হচ্ছে না। কেন তাদের ভর্তি বাতিল হলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার সঠিক উত্তর মিলছে না কিছুতেই।
দীর্ঘ দিন ধরে তাঁরা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর এমনকি রেজিস্ট্রারের সঙ্গেও দেখা করেন তবে মেলেনি কোনো সুরাহা । উল্টে মিলেছে খারাপ ব্যবহার, ভর্ৎসনা। এমনকি প্রায় এক মাস ধরে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁরা অপেক্ষাও করেন কিন্তু সেই সুযোগও দেওয়া হয়নি তাঁদের বলেই জানিয়েছেন উল্লেখ্য দশ জনের মধ্যে এক ছাত্র ।
এরপর তাঁরা সমস্ত বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে সাহায্য চান। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুল বিজ্ঞপ্তির কারণে তাঁদের একটি বছর নষ্ট না হয়। অন্যান্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এহেন অবস্থায় পড়ুয়াদের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন‌ এমনটাই তাঁদের দাবী। বিজ্ঞপ্তির ভুলের মাসুল কি পড়ুয়াদের গুনতে হবে নাকি মুখ্যমন্ত্রী আশার আলো দেখাবেন পড়ুয়াদের ? এখন সেটাই প্রশ্ন ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Next Post

'১১৭৬ হরে কৃষ্ণ', কি এর অর্থ ? । এম ভারত নিউজ

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর । করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। তার দরুন থমকে গিয়েছে জনজীবন । আবারও শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এরই মধ্যে একটা নতুন জিনিস ভাইরাসের মতোই ভাইরাল হয়েছে। তা হল ‘১১৭৬ হরে কৃষ্ণ’। কেনই বা এই ‘১১৭৬ হরে কৃষ্ণ’ লিখছেন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং কেনই […]

Subscribe US Now

error: Content Protected