বন্ধ লোকাল ট্রেন, তবে ফের নিয়ম বদল হল লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে। এবার লোকাল ট্রেনের রেল কর্মীদের পাশাপাশি উঠতে পারবেন সরকারি এবং বেসরকারি উভয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরাই। ক্ষমতায় আসার পরই আংশিক লকডাউনের পথেই হেঁটেছিল রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মূলত সর্বপ্রথমেই বন্ধ করা হয়েছিল লোকাল ট্রেন। তবে রেল কর্মীদের জন্য চালানো হচ্ছিল কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হাওড়া এবং শিয়ালদা ডিভিশনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল যাতে বর্তমানে করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যাতে এই রেল গুলিতে বিভিন্ন প্রান্তের স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধা দেওয়া হয়।
মূলত লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীদের এই যাতায়াত জনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। সময়ে পৌঁছানো থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাসে যাওয়া সবেতেই নাজেহাল হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। আর বর্তমানে তাঁদের এই সমস্যার ক্ষেত্রে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়েছে রেল মন্ত্রক। তবে, ট্রেনে ওঠার আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখাতে হবে পরিচয়পত্র। আনতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতিপত্রও।
ইতিমধ্যেই, রাজ্যের এই কঠিন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য কর্মীদের কথা মাথায় রেখে, হাওড়া ও শিয়ালদার ডিআরএম-কে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তার এই চিঠিতে রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে সাড়া দিয়ে জানানো হয়েছে স্পেশাল ট্রেনে সফর করার ক্ষেত্রে মান্থলি টিকিট কাটতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। পাশাপাশি নোডাল অফিসারের কাছ থেকে আই কার্ড নিতে হবে তাঁদের। নিজস্ব পরিচয় পত্র দেখাতে হবে তাঁদের এবং নিজস্ব গমনপথের ট্রেনের সময়সূচী জেনে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট স্টেশনে গিয়ে। তারপরই ট্রেনে সফর করতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বর্তমানে করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে। মূলত সংক্রমণ এড়াতে এবং অতিরিক্ত ভির কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রেল মন্ত্রকের তরফে।