বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সংগঠনে বড়সড় রদবদল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল দিলীপ ঘোষকে। যদিও এই পদ খোয়ানোর পর দিলীপ ঘোষের নতুন কোনও পদপ্রাপ্তি হয়েছে কিনা, সেই বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। বিজেপি সূত্রে খবর, বার বার তাঁর মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা করা হলেও দিলীপ তাতে কান দেননি। এই কারণেই তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরানো হল। বিজেপির অন্য শিবিরের মত, যেহেতু সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই সাংসদ দিলীপকে নিজের এলাকায় সময় দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সর্বভারতীয় দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। দলীয় শিবির বলছে, অনেক দিন ধরেই দিলীপকে নিয়ে অসন্তোষ ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তিনি দলের অনুশাসন মানছেন না বলে অভিযোগ ছিল। সেই কারণেই এটা একটা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বলেই জানানো হচ্ছে।
দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি হতে শুরু করেছিল। ২০২১ সাল থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদে ছিলেন খড়্গপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এবার কেন্দ্রীয় সংগঠনের রদবদলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদ থেকে বাদ গিয়েছেন তিনি। দিলীপকে সরিয়ে দেওয়ার ফলে এখন বিজেপির সর্বভারতীয় কমিটিতে বাংলার প্রতিনিধি রইলেন শুধু অনুপম হাজরা। আগের মতই তিনি সর্বভারতীয় সচিব পদে রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য, বাংলার প্রাক্তন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবারেও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকছেন। একটা সময় শোনা গিয়েছিল, দলের কাজের মধ্যে সে ভাবে না থাকার জন্য তাঁকে সর্বভারতীয় কমিটি থেকে ছেঁটে দেওয়া হতে পারে। তবে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদক পদে আট জনের মধ্যে কৈলাসের নাম রয়েছে।
এদিকে দিল্লির রাজনীতিতে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনা নিয়েও। সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের নাম ঘিরেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোনও রদবদল হলে, সেই দিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ থেকে নাম বাদ যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দিলীপ ঘোষের ঠাঁই হয় কি না, সেটাই দেখার।