নন্দীগ্রামের ভোট গণনার পিছনে কারচুপি রয়েছে এমনই অভিযোগ করে আরও একবার সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারকে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগও তুললেন তিনি। এদিন একটি এসএমএস দেখিয়ে ‘আসল ঘটনা’ প্রকাশ করেন তিনি। নন্দীগ্রামে যিনি রিটার্নিং অফিসার ছিলেন তিনি কেন পুনর্বার ভোট গণনা করার নির্দেশ দিলেননা, এই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, ভোট গণনার দিন প্রথমে জানানো হয় যে ১২০১ ভোটে শুভেন্দু অধিকারীকে পরাজিত করে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই বদলে যায় ফলাফল। বিজেপির তরফে ট্যুইট করে বলা হয় ১৬০০ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে পরাজিত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয় গণনার দিন নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে ডাউন হয়ে যায় সার্ভার, যার ফলে নন্দীগ্রামের কোনরকম ফলাফলের আপডেট দেখা যাচ্ছিল না সাইটে। এই ঘটনাকেও বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবে দেখতে রাজি নন মমতা। শুভেন্দু অধিকারী কে জয়ী ঘোষণা করার পরই ‘কারেন্ট অফ করে কারচুপি করা হয়েছে’ এই অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নন্দীগ্রামের তৃনমূল কর্মী-সমর্থকরা। স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করা হয় পুনর্গণনার। কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি এসএমএস দেখিয়ে অভিযোগ করেন যে নন্দীগ্রামে রিটার্নিং অফিসারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসএমএস টিতে রিটার্নিং অফিসারকে তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউকে মেসেজ করে বলতে দেখা যায় যে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই পুনর্গণনা করতে পারেননি তিনি। এই পরই মমতা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন ভোটের ফলাফল নিয়ে হাইকোর্টে যাবেন তিনি। এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীও এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে।