ক্ষমতায় এসে সরকার গঠনের পর বিধানসভায় বাজেট পেশ হল আজ। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের অসুস্থতার কারণে আজ বাজেট পেশ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে বাজেটে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখর । বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, “আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা দিতে হবে। মানুষের হাতে টাকা গেলে তারা খরচ করবে, তবেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। কেন্দ্রীয় সরকার যে নীতি নিয়েছে সেটা ঠিক নয়। আমাদের সরকার সঠিক নীতি নিয়ে এগোচ্ছে।” এছাড়াও তিনি বলেন”এ রাজ্যে আমরা সাধারণ মানুষের হাতে টাকা দিচ্ছি, তাঁরা বাজারে এসে খরচ করছে। খাবারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে, কারণ চাহিদা তৈরি হয়েছে।’ অমিত মিত্রের বক্তব্য, ‘ম্যাক্রো ইকনমিক্স পলিসি শেখা উচিৎ কেন্দ্রীয় সরকারের। সামাজিক খাতে বেশি টাকা বরাদ্দ করা রাজ্যের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।”

কী কী গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হল রাজ্য বাজেটে?দেখে নিন একনজরে :
১)রাজ্যের জন্য ৩,০৮,৭২৭ কোটি ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে, রাজস্ব ঘাটত ২৬,৭৫৫.২৬ কোটি, ৭ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেটে।
২) স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড়।
৩) ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত রোড ট্যাক্স মকুব।
৪)আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি বাজেটে
বাজেট প্রসঙ্গে মমতা :
১)মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বাজেট বরাদ্দ।
২) মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বাজেট বরাদ্দ।
৩) আমফানে কেন্দ্রের কাছ থেকে ২২৫০ কোটি টাকার বেশি পাইনি। ইয়াসের পর ২১ হাজার কোটি টাকা চেয়েছিলাম, পেয়েছি মাত্র ৩০০ কোটি টাকা।
৪) ২০১৯-২০ তেও ১১ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়াও আমরা ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাব কেন্দ্রের কাছ থেকে। অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে আমরা বঞ্চিত।
৫) কোভিড ম্যানেজমেন্টে ১৮৩০ কোটি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের খাতে ২৫০ কোটি, লক্ষী ভাণ্ডার (নারী ও শিশু উন্নয়ন) প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি, স্বাস্থ্য সাথী খাতে ১৯০০ কোটি।
৬) এত বঞ্চনা-বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন্দ্রের তুলনায় বাংলা এগিয়ে।