মহাভারতের কাহিনী এবার দক্ষিণ আফ্রিকায়। মহিলারা রাখতে পারবেন একাধিক স্বামী।তবে দক্ষিণ আফ্রিকাতে মহিলাদের একাধিক স্বামী রাখার প্রস্তাবটি ঘিরে দেশের সমাজের রক্ষণশীল অংশগুলির মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তৈরি গ্রিন পেপারে মহিলাদের একাধিক স্বামী রাখার প্রস্তাবটি রয়েছে। তাছাড়াও বিয়ে নামক প্রথাকে আরও সার্বিক করে তোলার কথা ভাবা হয়েছে। তবে এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিয়ে যে আইনে পরিচালিত হয়, তা দেশের সংবিধানের বিধি, ধারার ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। সেই আইনে ঐতিহ্য সংক্রান্ত কিছু ইস্যু আছে। গ্রিন পেপারে বলা হয়েছে , বিয়ে সংক্রান্ত নীতির উদ্দেশ্য হল , দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী সব মানুষের বিবাহ নিয়ন্ত্রণে একটি পলিসি ফাউন্ডেশন বা ভিত তৈরি করা। সব দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী , সব ধরনের যৌন অভিমুখ , ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের মানুষজন যাতে আইনি বিবাহ সম্পন্ন করতে পারেন যা সংবিধানে যেমন বলা হয়েছে, সেভাবে সমতা, বৈষম্যহীন, মানবমর্যাদা, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের নীতির সঙ্গে মানানসই হবে। নথিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রিন পেপারটি ব্যাপক গবেষণা এবং পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি হয় এবং এই প্রক্রিয়াটি ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী নেতাদের পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মীদের সাথে আলোচনার মধ্যে দিয়ে। মানবাধিকার কর্মীরা বলেছিলেন যে সমতার অধিকারের দাবিতে বহুবিবাহকে আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
তবে বিরোধীরা মারাত্মক ভাবে ক্ষেপে উঠেছে প্রস্তাবটির বিরোধিতা করার অন্যতম প্রধান মুখ হলেন রিয়েলিটি টিভি তারকা মুসা মিসেলেকু।এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেন “আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা, আমাদের আধ্যাত্মিক বর্তমান প্রজন্ম এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং রীতিনীতি রক্ষা করি। আসুন আমরা সরাসরি পলান্ড্রিকে আপত্তি জানাই”।তবে বলাবাহুল্য বিশ্বের সবচেয়ে উদার সংবিধানগুলির অন্যতম দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান যা বহুবিবাহ অনুমোদন করে।