আজ সভার আগে সমস্ত উত্তেজনার রেশ কাটিয়ে অবশেষে ডায়মন্ডহারবারে পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা। শেষ পর্যন্ত সভা হয়েছে তবে কমে গিয়েছে লোকসংখ্যা। এদিন মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বললেন,’ আমি পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে যাব’। পার্থ, মানিকের পর এবার জেলে কে যেতে চলেছেন সেটির প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় আমাকে ডেকে সেট করতে চেয়েছিলেন, তবে আমি সেটিং করার লোক নই। এই মাসেই এক গাড়ি লাড্ডু নিয়ে আসব আবার এখানে’। এমনকি ‘চোর ধরো ,পিসি চোর, ভাইপো চোর’ স্লোগানও তুললেন শুভেন্দু।
পাশাপাশি শান্তিকুঞ্জের সামনে তৃণমূলের বাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়ালেও অভিষেকের সভা চলছে নির্বিঘ্নেই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মঞ্চ থেকে কটাক্ষ করে বলেন, ”আপনি আমাকে আক্রমণ করতে করতে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। আমার মা, বাবা, বউ, শ্যালিকা কাউকেই ছাড়ছেন না। এমনকি আমার তিন বছরের বাচ্চাকেও ছাড়লেন না। আমার পুরো পরিবারকে অসম্মান করেছেন তবে দয়া করে পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষকে অপমান করবেন না।”ফুটেজ খেতে আমার নাম, দিল্লিতে নম্বর বাড়াতে আমার নাম নিচ্ছেন। ঠিক আছে আমার নাম ধার দিলাম এবার আপনাকে।”
ডায়মন্ডহারবারের সভা বাঞ্চাল করতে জায়গায় জায়গায় পথ অবরোধ করেছে তৃণমূল কর্মী তথা গুণ্ডা বাহিনী, এমনই অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। ইতিমধ্যে ৬ জন আহত হয়েছেন যাদের কলকাতায় হাসপাতালে আনার ব্যাবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিজেপির ২২২ খানা গাড়ি আটকানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হটুগঞ্জে বিক্ষোভ থামাতে ঘটনাস্থলে যেতে বাধ্য হন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এমনকি গতকাল রাতে সভার মঞ্চও খুলে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবী শুভেন্দুর । তবে পরে আবার নতুন করে মঞ্চ বাঁধা হয়।
আরও পড়ুন