দলবদলের পর প্রথম জনসভা থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগুন ঝরালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর সভা থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্প কার্যকর না করা এবং তোলাবাজির অভিযোগ তুলে ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ চাইলেন শুভেন্দু।

দল এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এই প্রথম প্রকাশ্য সভায় হাজির হন শুভেন্দু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এক মঞ্চে হাজির হয়ে প্রথম দিনই তৃণমূলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপিকে যোগদানের দিন ভাইপো হঠাও শ্লোগান তুলেছিলেন, আজও সেই শ্লোগান দেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি বিজেপির সাহায্য না পেলে তৃণমূল দলই উঠে যেত।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যে তোলাবাজি চলছে। গরু, কয়লা, মাটি— সব কিছু থেকে টাকা তুলছে তৃণমূল। বাকি আছে শুধু কিডনি পাচার। এ বার ক্ষমতায় এলে সেটাও করবে। এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্য কি তাও পরিষ্কার করে দেন। তাঁর কথায়, বিজেপিতে যোগ দিয়ে একটাই লক্ষ্য, ভাইপো হঠাও।’’

এদিকে, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ায় দলের অনেকেই তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। এদিন তারও জবাব দেন তিনি। বলেন, ‘‘আমি একজন শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মী। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমি নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি। শুভেন্দু অধিকারী মীরজাফর নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি সাহায্য না করলে ১৯৯৮ সালে তৃণমূল দলটাই উঠে যেত।’’ এর পরেই শুভেন্দুর আহ্বান, ‘‘বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই।
একই মঞ্চে থাকা দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতির জন্য হাইকোর্ট সেই নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছে। ফলে বহু যুবক-যুবতী চাকরি খুইয়েছেন।’’ আমপানের ত্রাণ নিয়ে তৃণমূলকে দুর্নীতির কাঠগড়ায় তুলে তোপ দাগেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘‘দিদিমণি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ২০ হাজার টাকা করে ত্রাণের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা তাঁর দলের লোকেরাই খেয়েছে।’’