শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এসবকে ডোন্ট কেয়ার করেই নিজের ছন্দেই রয়েছে তিনি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মজয়ন্তীতে যান তিনি। সেখানেই খুব সন্তর্পণে এড়িয়ে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। ভাষণের শুরুতে তিনি ক্ষুদিরামের জীবনকাহিনী তুলে ধরেন। পরে অবশ্য বলেন, 2011 সালের আগে এইদিনটাতে আমি আসতাম, তবে এখন এলে কারো কারো অসুবিধে হচ্ছে।
এদিন দিনভর ঠাসা কর্মসূচি ছিল শুভেন্দুর। তমলুকেও অরাজনৈতিক সভা করেন তিনি। তারপর যান গড়বেতায়। চন্দ্রকোনা থেকে বাইক মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন গগড়বেতায় আরও শুভেন্দু বলেন, গ্রাম বাংলার ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে, আরও লড়বে,আপনারা পাশে থাকুন। শুভেন্দুর এমন মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত আজই তৃণমূলের তরফে শুভেন্দুর সঙ্গে আর কোনও আলোচনা নয় বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। আর তারপরই শুভেন্দুর এমন মন্তব্য ঘিরে কার্যত শুরু হয়েছে তরজা।
গতকয়েকদিন ধরেই শুভেন্দুকে নিয়ে নাজেহাল তৃণমূল শিবির। দফায় দফায় বৈঠক হলেও মন গলেনি পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। মঙ্গলবার রাতেও সৌগত রায়ের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসেন শুভেন্দু-অভিষেক-পিকে-সুদীপরা। প্রথমে সৌগত রায় বৈঠক ইতিবাচক বললেও বুধবার দুপুরে সৌগতকে এসএমএস মারফৎ শুভেন্দু জানান ওই রাতের বৈঠক অনৈতিক। এতেই বেশ চাপে রয়েছে তৃণমূল। তবে এসবকিছুকে গুরুত্ব না দিয়ে শুভেন্দু আছেন শুভেন্দুতেই।