মোরামের লালমাটির পথ পার হয়ে এলেই মন্দিরটি। একেবারেই সাধারণ সাদামাটা এই মন্দিরটিকে দেখলেই মনে হবে যেন এক কামরার একটা ছোট্ট বসতবাড়ি। মন্দিরের চূড়া নেই, রয়েছে ছোট্ট দাওয়া। মন্দিরে স্থাপিত মূর্তিটি দেবী দুর্গার আরেক রূপ দেবী শ্যামরূপার। আর বীরভূমের গড়চন্ডি মন্দিরে মাতৃশক্তির এমন রূপ দেখতে পাওয়া যায় ।
মন্দিরে প্রতিদিন মায়ের নিত্যসেবা হয়,ভক্তরা আসেন বহুদূরদুরান্ত থেকে ।
কথিত আছে, এখানেই নাকি দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়েছিল প্রথম মৃন্ময়ী রূপে। প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার ভক্তের সমাগম হয় দুর্গাপুজোর চারদিন ।শোনা যায়, দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন প্রতিবছর এই গড়জঙ্গল থেকে তিনবার তোপধ্বনি হয় । এই তোপের আওয়াজ হয় তখনই ঠিক অষ্টমী তিথি যখন শুরু হয়। জঙ্গলের বাইরে গ্রামগুলোতে কেউ অষ্টমীপুজো শুরু করে না ওই ধ্বনি না হওয়া পর্যন্ত। খিচুড়ি মহাপ্রসাদ নবমীর দিন খাওয়ানো হয় ।মন্দির প্রাঙ্গনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা লক্ষ করা যায় । সব মিলিয়ে, আজও এক জাগ্রত ‘মা’ হিসেবেই জনমানসে বিরাজ করেন দেবী শ্যামরূপা।