
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কিছুদিন যাবৎ হাড্ডাহাড্ডি বাকযুদ্ধ চলছে গেরুয়া বনাম সবুজের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লাগামহীন ভাবে বিস্ফোরক আক্রমণ করে চলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। পাল্টা তোপ দাগছেন সরকারও। তবে এবার বেশ নরম সুর শোনা গেল দুই তরফ থেকেই। সংবিধান দিবসে আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করেন দলনেত্রীকে, এমনটাই খবর। যাঁর নেতৃত্বে রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিশেষ জায়গায় উঠেছেন, তাঁর সঙ্গে এতদিন পর মুখোমুখি হয়েই সম্মান প্রদর্শন করেন শুভেন্দু। এদিন মমতাকে প্রণাম করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও। এদিন শুভেন্দুর মুখোমুখি হয়েই প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘অনেকদিন পর এত কাছে এলি।‘ এমনকি শিশির-শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর একদা সুসম্পর্কের কথাও জানালেন দ্বিধাহীনভাবে।

এদিন শুভেন্দু আর অগ্নিমিত্রার সাথে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী এবং মনোজ টিগ্গা। আজ সংবিধান দিবসে নিছকই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে আমন্ত্রণ জানায় বলে খবর। শুভেন্দুদের চা খাওয়ারও নিমন্ত্রণ জানান তিনি। এদিন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলে আসার আমন্ত্রণ জানান এবং তাকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রত্যুত্তরে শুভেন্দু বলেন, ‘কিছু দিতে হবে না, শুধু পিএসসি-টা দিয়ে দিন’। এদিনের সৌজন্য সাক্ষাতের পরেই দলের বিধায়কদের নিয়ে পরিষদীয় বৈঠক ডাকেন শুভেন্দু।
সব মিলিয়ে মোটামুটি আজ বিধানসভায় যা যা সৌজন্যের নজির মিলেছে তাঁকে একপ্রকার গান্ধীনীতির পুনরুত্থান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সংবিধান দিবসকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটের আগে লড়াইয়ের ময়দানে একটু হলেও আজ বিরতি নিল শাসক-বিরোধী উভয়ই।
আরও পড়ুন