অস্ট্রেলিয়ার রিপোর্ট বলছে নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেটে করোনার রেকর্ড সংক্রমণ দেখা হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই শরীরে পাওয়া গিয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট। বৃহস্পতিবার নিউ সাউথ ওয়েলসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। বুধবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৭ জন। নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে টানা দু’সপ্তাহ লকডাউন চলছে। ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়ায় আরও এক সপ্তাহ লকডাউন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান বলেন, “আমরা লকডাউনের সময়সীমা বাড়াতে চাই না। কিন্তু যতদিন না বড় সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া যাচ্ছে, ততদিন লকডাউন চালিয়ে যেতেই হবে।”বেরেজিকলিয়ান স্থানীয় মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, “বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। পরিবারে কারও দেহে ফ্লু-এর লক্ষণ দেখা দিলে সবাই করোনা পরীক্ষা করান। কারণ ডেল্টা স্ট্রেন অত্যন্ত ছোঁয়াচে।” প্রিমিয়ার আশ্বাস দেন, যে এটিই সিডনির শেষ লকডাউন ও সিডনিতে তিন সপ্তাহের বেশি লকডাউন করা হবে না। যদিও এখনও অস্ট্রেলিয়ার ১০ শতাংশের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নেননি।

অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনিতে ২ রা জুন থেকে দুই সপ্তাহ ধরে জনগণের চলাচলকে সীমাবদ্ধ করা এবং সমাবেশকে সীমাবদ্ধ রাখার আদেশ কার্যকর করা হয়েছিল। অবৈধ জমায়েত ও সামাজিক দূরত্বের বিধি লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে নতুন সংক্রমণ সংক্রামিত হওয়ার পরে কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ১৬ জুলাই পর্যন্ত। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে কোভিড অতিমহামারীর মোকাবিলা করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৯০০ জন। মারা গিয়েছেন ৯১০ জন। কিন্তু সেদেশে টিকাকরণ অত্যন্ত ধীর গতিতে হওয়ায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ পড়ছে মারাত্বক ভাবে।
fabulous post, i love it
Thank You for your reply ! Mbharat