নিজস্ব সংবাদদাতা,পুর্ব মেদিনীপুর:
বিগত কয়েক বছর ধরেই রূপনারায়ণ নদীর বাঁধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহু ইটভাটা। রূপনারায়ন নদীকেন্দ্রিক একাধিক দিনমজুরদের রোজগারের উৎস ইটভাটা। এবার সেই ইটভাটায় হস্তক্ষেপ করল প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, ইটভাটার মালিকরা অবৈধভাবে জমি দখল করে ইটভাটা গুলি তৈরি করেছিল। প্রশাসনের দাবি রূপনারায়ন নদীর বাঁধ ভাঙার অন্যতম কারণ এই অবৈধ ইটভাটা গুলি। আবার ইটভাটার চিমনি থেকে নিঃসৃত হয় ধোঁয়া। সেই ধোঁয়া থেকে পরিবেশ দূষণ ঘটে ব্যাপক হারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ইটভাটা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে দিনের পর দিন সবুজ গাছের পাতার ওপর ছাইয়ের কালো স্তর জমছে এবং ফসলের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় দূষণের কারনে ফসল উৎপাদনের পরিমাণও অনেক হ্রাস পেয়েছে।ইটভাটা সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করার পরেও ইটভাটার মালিকরা ইটভাটা গুলিকে বন্ধ করতে রাজি হয়নি।দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান করতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সুস্থ পরিবেশ এবং নদীর বাঁধ ভাঙন যাতে রোধ করা যায়, তার জন্য প্রশাসন যাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়।প্রশাসন আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করায় আমরা ভীষণ খুশি।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে, হাইকোর্টের নির্দেশে পুর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ব্লকের নাটশাল-২ ও নাটশাল -১ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার রুপণারায়ন নদীর পাড়ে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ইটাভাটাগুলিকে ভেঙ্গে দিল স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে উন্নত প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে রুবেল, ইন ভারত, সুন্দরম ও মাকালি নামক ৪টি ইটভাটা ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়। আগামী দিনে আরও ৪টি ইটভাটা ভাঙ্গার কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।মহিষাদলের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল জানান, স্থানীয় মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে রুপনারায়ন নদীর পাড়ে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা আটটি ইটভাটা ভাঙ্গার নির্দেশ এসেছে। সেই নির্দেশ অনুসারে প্রাথমিক ভাবে চারটি ইটভাটা ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে বাকি ৪টি ইটভাটা ভাঙ্গা হবে।