আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগেই একবার এসএসকেএম-এ পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েই আক্রান্ত তিন তৃণমূল যুব সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তবে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর পেছনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সম্পূর্ণ মদৎ রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। না হলে বিপ্লব দেবের পক্ষে একা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হত না। বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ এর জয়লাভের পরে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের উদ্দেশ্যেই রাজ্যে নিজস্ব ঘাঁটি গাড়তে শুরু করেছে তৃণমূল আর তার মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরাকে। তবে সেক্ষেত্রে বেশ বড়সড় ঝক্কি পোহাতে হল তাঁদের। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৪ জন যুব সদস্যকে। তবে হাল ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। ত্রিপুরাকে জেতার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর তৃণমূল।

আজ হাসপাতালে এসে তিনি বলেন ”এক্ষুণি ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। হাতে সময় খুবই কম। ত্রিপুরায় সুদীপ, জয়া ও দেবাংশুদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে ,মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিসের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে মেরেছে, পুলিশ নির্বাক ভেবে দেখেছে। একটা ছেলেকে মারার পর ৩৬ ঘণ্টা পরেও কোনও চিকিৎসা হয়নি, কাউকে এক গ্লাস জল দেয়নি ওরা। যুব সদস্যদের ওরাই মেরেছে ওরাই গ্রেফতার করেছে। বিজেপি একটা দানবীয় দল। শুধু তাই নয় ত্রিপুরায় অভিষেকের উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে তা নিন্দনীয়। এমনকি বিমানের টিকিট না দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছে। আমি মনে করি ছাত্রের উপর হামলায় পড়ুয়াদের গর্জে ওঠা উচিত।”