ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের বালোচিস্তানের কোয়েটা শহরে । জানা যাচ্ছে মূলত একটি বিলাসবহুল হোটেলের সামনে একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ফলে মৃত্যু হয় চারজনের এবং সেই ঘটনাটিতে আহত হয়েছেন ১১ জন । পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে লক্ষ্য করে সেরিনা হোটেলের গাড়ি পার্কিং এলাকায় এই বোমা হামলা হয়েছে, তবে ঘটনাচক্রে সেই সময় ওই হোটেলে উপস্থিত ছিলেন না পাকিস্তানের প্রেরিত চীনের রাষ্ট্রদূত। বালোচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ লাঙ্গো ইতিমধ্যে একটি নির্দেশনার মাধ্যমে জানিয়েছেন, “একটু আগেই চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমি দেখা করেছি। তিনি সুরক্ষিত আছেন।”পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে গেছে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি এই বিস্ফোরণ ঘটাতে সহায়তা করেছে । তথ্য অনুসারে জানা গেছে কোয়েটা শহরের এই সেরিনা হোটেল বেশ সুপরিচিত। মূলত কোন দেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অথবা সেই দেশের মুখপাত্র বা রাষ্ট্রদূত এবং এমনকি পাকিস্তানের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা সাধারণত এই হোটেলেই বসবাস করে থাকেন ।তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটার পেছনে একটি বিশেষ কারণ, পূর্ব আশঙ্কা মত চীনা রাষ্ট্রদূতের ওই হোটেলে অবস্থানের কথা জানতে পেরেছিলেন তাঁরা। স্থানীয় একটি হাসপাতালের প্রধান ওয়াসিম বেগ চারজনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, হাসপাতালে বর্তমানে যে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বেলুচিস্তান হল পাকিস্তানের একটি দরিদ্র এলাকা তাই বেলুচিস্তানের মধ্যে অবস্থানকারী বেশ কয়েকটি সক্রিয় গোষ্ঠী আছে যারা আগামী দিনে বেলুচিস্থানকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে চান তবে বর্তমানে চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জেরে বেলুচিস্তানের চীনের তৈরি কিছু পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে এবং যার তীব্র বিরোধিতা করছেন বেলুচিস্তানের এই সংগঠনগুলি। তাঁদের ধারণা আগামী দিনে বেলুচিস্তানের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ গুলি সাধারণ মানুষের কাজে না লাগিয়ে নিজেদের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ব্যবহার করতে চলেছেন পাকিস্তান এবং চীনা সরকার। তাই এই বিষয়ে তীব্র বিরোধিতার আভাস পৌঁছে দিতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটালেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।