লকডাউনের জেরে বন্ধ জনজীবন। দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন রাজ্য সরকারের কার্যত লকডাউনের জেরে সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা ওপর বিশেষ বাধানিষেধ ছিল। প্রায় জনশূন্য ছিল মন্দির অঞ্চল, মন্দির কতৃপক্ষ কড়া ভাবে সমস্ত করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনেই এতদিন মন্দিরে পুজোর ব্যবস্থা করেন। গত বেশ কয়েক দিন আগেই সেই নিষেধ উঠে গিয়ে মন্দিরে সকাল ৭টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত পুজো দেওয়া যেত। গত কালই সাংবাদিক বৈঠক করে লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার পুজো দেওয়ার সেই সময়সীমা বাড়ালো মন্দির কর্তৃপক্ষ।
তমলুকের বর্গভীমা মন্দির কমিটির সম্পাদক জানায় যে লোকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার পরে তারা সিদ্ধান্ত নেয় মন্দিরে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর। এখন মন্দির খোলা থাকবে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দুপুর ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত। তারপরে ভক্তদের জন্য মন্দির খোলা হবে আবার বিকেল ৩.৩০ মিনিটে, যাবতীয় সমস্ত পুজো চলবে রাত্রি সাড়ে আটটা পর্যন্ত। তিনি আরও জানায় যে তারা অনেক চেষ্টা করছে ভক্তদের করোনা সম্পর্কে সতর্ক করতে এবং দূরত্ব বিধি মেনেই তারা সমস্ত কাজ করছে ও ভক্তদেরও আবেদন করেছে দুই স্তরের মাস্ক এবং দূরত্ব বিধি মানতে। তাঁদের মতে তারা যেহেতু এইভাবেই সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করছে তাই কিছুটা হলেও তারা মন্দিরে প্রবেশের সময় সীমা বাড়াতে পেরেছে।
মন্দির কতৃপক্ষ থেকে জানানো হয় যে যেই ভক্তরা বাইরে থেকে আসতো দর্শন করতে তাঁদের জন্য তৈরী করা হত প্রসাদ ও তাঁদের মন্দির অঞ্চলেই খাওয়ানো হত। এই ব্যবস্থা তারা এখনো চালু করতে পারছেন না, বর্গভীমা মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজী অধিকারী জানায় যে ‘ ভক্তদের বসিয়ে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলে করোনা বিধি লঙ্ঘন হতে পারে ও ভক্তদের আগমনকে আমরা সামলাতে পারবো না, তবে কোনো ভক্ত যদি ভোগ দিতে চায় তবে তাকেই সমস্ত বাজার করে মন্দিরে দিতে হবে পুরোহিতরা সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে সেই ভোগ মায়ের কাছে তুলে দেবে’ তবে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কড়া ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুজো দেওয়ার সময় ভক্তদের গর্ভগৃহে প্রবেশ করা যাবে না। নাটমন্দির থেকেই যাবতীয় পুজো দিতে হবে এবং পুষ্পাঞ্জলী দিতে হবে। তিনি শেষে এও বলেন যে মহামারীকে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চলতে হবে আগামীতেও।