এবার গর্ভপাতের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনলো কেন্দ্র। এই নতুন নিয়মের জেরে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী প্রসূতি-সহ কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২৪ সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি সাপেক্ষে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। পূর্বে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অনুমতি সাপেক্ষে গর্ভবতী হওয়ার ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হত। এই নতুন নিয়মের জেরে সেই সময়সীমা বাড়ানো হল। ২০২১ সালের গর্ভপাত আইন সংশোধনী অনুসারে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন ধর্ষিতা, নাবালিকা, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন স্বামী মারা গিয়েছেন বা ডিভোর্স হয়েছে, এমন অন্তঃসত্ত্বাদের এবার থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে মধ্যে গর্ভপাত করানো যাবে। গর্ভস্থ ভ্রূণের বিশেষ ত্রুটি থাকলেও এই আইন অনুযায়ী করানো যাবে গর্ভপাত। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বা স্বাভাবিক জীবনই থাকবে না— এমন শারীরিক বা মানসিক ত্রুটি থাকলেও এবার থেকে গর্ভপাত করানো যেতে পারে। সরকারি ঘোষিত বিপর্যয় বা জরুরি পরিস্থিতেও তেমন করা যাবে। তবে এই সবকটি ক্ষেত্রেই একটি মেডিক্যাল বোর্ড প্রসূতির শারীরিক অবস্থা দেখে চূড়ান্ত অনুমতি দিলে তবেই করানো যাবে গর্ভপাত।
২০২১ সালের বিগত মার্চ মাসে সংসদে পাশ হওয়া গর্ভপাত আইন (সংশোধনী)-এর জেরেই সময়সীমা বেড়েছে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত। এর আগে মেডিক্যাল বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে ১২ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে করাতে হত এই গর্ভপাত। নতুন আইনানুসারে, কোনও মহিলা গর্ভপাতের আবেদন করার পর তাঁকে পরীক্ষা করবে মেডিক্যাল টিম। পাশাপাশি তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টও খতিয়ে দেখবে রাজ্য স্তরের গঠিত ওই মেডিক্যাল বোর্ড। গর্ভপাতের ব্যাপারে তাঁদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে ধার্য্য করা হবে। এমনকি গর্ভপাতের জন্যে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও ঠিক করে দেবে ওই বোর্ড। নতুন আইন অনুসারে, গোটা প্রক্রিয়াটি আবেদনের পাঁচ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।