নির্বাচনী আইনের ক্ষেত্রে সংশোধনী আইনের দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পর আজই প্রথমবার বিধানসভা অধিবেশন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর সেখানেই নির্বাচনী আইনের সংশোধনীতে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আজ তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট পক্ষপাতিত্ব ছিল। আর তা না থাকলে এবার বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ এ বিজেপি এতগুলি আসনে জয়লাভ করেছে। রাজ্য করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আট দফায় নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে যার ফলে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
শুধু তাই নয় পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আওতায় নিয়োগ করা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আজকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন , “নির্বাচনের সময় চার লক্ষ সেনা এনে রাজ্যে কাজ করিয়েছে। তাদের আরটিপিসিআর হয়েছে কি না জানা নেই। তারা করোনা ছড়িয়েছে। দিল্লি থেকে নেতারা এসেছেন রোজ রাজ্যে সভা করতে।” শুধু তাই নয় পাশাপাশি বিভিন্ন দলীয় প্রচারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বারংবার রাজ্যে আগমন এবং প্রায় প্রতিদিনই জেলায় জেলায় রাজনৈতিক প্রচারে
আসা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের এভাবে নির্বাচন পরিচালনার ফলে যে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি আজ ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে সেটা আদালত থেকে শুরু করে চিকিৎসক সবাই বলছেন। শুধু তাই নয় বারংবার রাজনৈতিক বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন নির্বাচন কমিশনের নিষেধ থাকা সত্বেও ৫০০ এর বেশি সংখ্যক মানুষ নিয়ে সভা করেছেন বিজেপির প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। ওদিকে আরও একবার মাদ্রাজ হাই কোর্টের বক্তব্য তুলে এনে তিনি বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি একাই এই বক্তব্য রাখছেন তা নয় । পাশাপাশি মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফ থেকেও বাংলার এই করোনা পরিস্থিতি কারণে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়েরের কথা বলা হয়েছিল। তাই আগামী দিনে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আইনে পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করছেন তিনি।