আরজিকর কাণ্ডে ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় মমতা। কথা মতই রাস্তায় নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৌলালি থেকে শুরু হয় আজকের মিছিল। দুপুর ৩.৪০ নাগাদ মিছিল শুরু করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দলের সমস্ত মহিলা বিধায়ক, সাংসদ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর চাপ বাড়াতে আজ পথে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিনভর একাধিক কর্মসূচি ছিল বিজেপির’ও। অন্যদিকে আজ ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিল ‘SUCI’ ! আজ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমে পুলিশের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ”হামলার ঘটনার পর সারারাত জেগে ছিলাম, ঘুমোইনি। প্রার্থনা করছিলাম রাজ্যে এগুলো কি হচ্ছে? কবে শান্তি ফিরবে!”
তদন্ত প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চাই না কুৎসা করতে। সিবিআই তদন্ত করছে। মামলা বিচারাধীন। আইন হাতে নেবেন না।’’
শেষে মমতা স্লোগান দিয়ে একরকম বিজেপিকে কটাক্ষ করেই বলেন, ‘‘দোষীদের ফাঁসি চাই। রাম-বামের চক্রান্ত ব্যর্থ করুন।”
অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “হাথরস, উন্নাও, মণিপুরে মহিলাদের যখন নির্যাতন করা হচ্ছিলো তখন কেন্দ্রীয় সরকার ক’টা দল পাঠিয়েছে? বিজেপি, সিপিএম ক’টা দল পাঠিয়েছে? অথচ বাংলায় ইঁদুর কামড়ালেও ৫৫টি দল পাঠান। আমাকে যা খুশি বলুন, কিছু যায়-আসে না। আমি জীবন্ত লাশ হয়ে গিয়েছি মার খেতে খেতে।”
এছাড়াও আজ হুঙ্কার দিয়ে মমতা বলেন, “আমি যত শান্ত থাকি, আপনাদের মঙ্গল। আমাকে আঘাত করলে খারাপ হয়ে যাবে। রুদ্র মূর্তি ধারণ করব। আমি তখন হয়ে যাব টর্নেডো, সাইক্লোন। নিজেকে কেয়ার করি না। মানুষকে কেয়ার করি। যাঁরা দোষী, তাঁদের কথা না বলে আমাকে মারতে যান।”
প্রসঙ্গত, আরজিকর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার তদন্তকারি একটি দল নির্যাতিতার সোদপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।