আম্ফানের তান্ডব কাটিয়ে বছর ফিরতে না ফিরতেই ঘূর্ণিঝড় “যশের” মোকাবেলায় তৎপর রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবেলার স্বার্থে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব, পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের প্রতিনিধিরাও। ইতিমধ্যেই এই বৈঠকের পর যশের তান্ডব থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে প্রস্তুতিতে লেগে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য সরকারের তরফে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ:
১) ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবেলার কারণে গঠন করা হয়েছে উপকূল নিরাপত্তা বাহিনী দল।
২) তৈরি করা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম।
৩) সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ১৩টি জাহাজ, স্পিডবোট এবং বোটের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।
৪) ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে উপকূলে মাইকিং । পাশাপাশি নজরদারি চালানো হবে আকাশপথেও।
৫) দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন লক্ষ বাসিন্দাকে সরানো হল নিরাপদ আশ্রয়ে।
৬) করোনা বিধি মেনেই তৈরি করা হচ্ছে ১১৫ টি সাইক্লোন সেন্টার। সংক্রমনের কথা মাথায় রেখেই পরিচালনা করা হবে সাইক্লোন সেন্টার গুলিকে।
৭) রাজ্যের ২৫০ টি স্কুল এবং কলেজেও নিরাপদ থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে মানুষের।
৮) বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে সাগরদ্বীপ মৌসুনী এবং পাথর প্রতিমায়।
৯) নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্গত করা হয়েছে ২০টি স্যাটেলাইট ফোন এবং ২৫ টি ড্রোন ব্যবস্থাকে।
১০) হাওড়া যশোবন্তপুর রুটের তিন জোড়া ট্রেন বাতিল।
১১) ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ সম্পর্কিত বৈঠক করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সিএসসি ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
১২) যশের তান্ডব ঠেকাতে তৎপর কলকাতা পুলিশের কুড়িটি টিম। প্রতি টিমের সদস্য সংখ্যা ৫।
১৩) জল জমার পূর্ব সম্ভাবনা থাকতেই আগাম পাম্পের ব্যবস্থা।
১৪) সতর্ক করা হয়েছে রিভার ট্রাফিক পুলিশদেরও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। নারদা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণেই বর্তমানে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন তিনি। আর সেক্ষেত্রে ভার্চুয়ালি যশ মোকাবিলার সমস্ত রকম প্রস্তুতি করতে হচ্ছে এই হেভিওয়েট নেতাকে।