মঙ্গলবার ধসে পড়ে থাকা কনডোমিনিয়াম ভবনের ধ্বংসস্তূপে আরও চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩২ জন , কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে অনুসন্ধানের কাজ ট্রপিকাল স্টর্ম এলসা দ্বারা তীব্র হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। মিয়ামি-ডেডের সহকারী ফায়ার চিফ রাইড জাদাল্লাহ জানিয়েছেন, বজ্রপাতের দরুন মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা ভোরে দুই ঘন্টা তাদের কাজ থামিয়ে দিতে বাধ্য হয়। ধসের পরের প্রথম ঘন্টা থেকে কাউকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি, তবে উদ্ধারকর্মীরা এখনও প্রিয়জনদের পুনরায় একত্রিত হওয়ার প্রত্যাশা রেখে চলেছে।

মঙ্গলবার সকালে ধসে পড়া ভবনের স্থানে, বিদ্যুতের করাত এবং ব্যাকহোসের শব্দ শুনতে পায় উর্ধরকারিরা, যারা ১৩ দিন ধরে ধ্বংসস্তুপের মধ্য দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে হঠাৎ ধূসর মেঘের উপরে ২০ মাইল / ঘন্টায়(৩২ কিলোমিটার) শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থাবা বসায়। ট্যম্পা বে এবং ফ্লোরিডার বিগ বেন্ডের মাঝখানে এবং উত্তর ফ্লোরিডা পেরিয়ে কোথাও কোথাও স্থলপাতের আগে আবার হারিকেন হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে শক্তিশালী হওয়ায় সার্ফসাইডে কিছুটা বৃষ্টিপাতের আশা করা হয়।

কর্মকর্তারা বলেছেন, অনুসন্ধান কর্মীরা বৃষ্টিপাতের মধ্যেও কাজ করতে সক্ষম, তবে সম্পূর্ণ বজ্রপাতের মধ্যে তাঁরা মাঝে মাঝে বিরতি নিতে বাধ্য হয়, এবং ধ্বংসস্তুপের একটি গ্যারেজ বেশ কয়েকটি জায়গা জলমগ্ন হয়ে গেছে। সিটি মিয়ামি ফায়ার রেসকিউ টিমের কমান্ডার ইগনেতিয়াস ক্যারল বলেছেন, তাঁরা তাঁদের মূল লক্ষ্য নিয়েই অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের উদ্দেশ্য যথাসম্ভব অনেক লোককে খুঁজে বের করা এবং তাদের পরিবার ও প্রিয়জনদের কিছু উত্তর বা আশার আলো দেওয়া।