দেশ জুড়ে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। প্রাণবায়ুর অভাবে ছটফট করতে করতে মারা যাচ্ছেন অসংখ্য রোগী। এই মুহূর্তে অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থাগুলি হিমশিম খাচ্ছে প্রতিটি রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে। এহেন পরিস্থিতিতে তাই করোনা রোগীদের খানিক ভরসা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। কিন্তু সেটির দাম এতই বেশি যে তা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।
এরকম এক পরিস্থিতিতে অতি অল্প দামে অক্সিজেন ককনসেনট্রেটর বানিয়ে আশার আলো দেখালেন দুর্গাপুরের এক অধ্যাপক।
মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বানিয়ে ফেলেছেন দুর্গাপুর ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শিবেন্দু শেখর রায়।
গত বছর যখন করোনার প্রভাব বাড়তে শুরু করেছিল তখন থেকে অক্সিজেন সংকটের কথা মাথায় রেখে এই কনসেনট্রেটরের কথা ভেবেছিলেন তিনি। তিনি জানান “এই মেশিনটি বাড়িতে ব্যবহার করা যাবে অতি সহজেই। চিকিৎসকদের পরামর্শে রোগীর প্রয়োজনমতো রেগুলেটর ঘুরিয়ে লিটার প্রতি মিনিট করে দিলেই হবে। তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ৯২ থেকে ৯৪ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে এই মেশিন। এটির নাম দেওয়া হয়েছে প্রাণায়াম।”
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা থেকে এই মেশিনটির প্রযুক্তি নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে অধ্যাপককে। অধ্যাপক রায়ের দাবী এই মেশিনটি বাজারজাত করা হলে এর দাম পড়বে ৩৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। কলকাতা সঞ্জীবনী হাসপাতালে ইতিমধ্যেই এই মেশিন ব্যবহার করা শুরু হয়েছে বলেই জানান তিনি।
অক্সিজেন কনসেনট্রেটরটি মূলত বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হলেও ব্যাটারির সাহায্যে চালানো সম্ভব হবে এটিকে। বিদেশ থেকে আনা কনসেনট্রেটরের প্রায় অর্ধেকের ও কম দামে পাওয়া যাবে এই মেশিন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাঙালি বিজ্ঞানীর এহেন আবিষ্কার দেশের এই অক্সিজেন সংকট কাটাতে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তা বেশ জোরের সাথেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।