আজ নয়া দিল্লিতে দেশের প্রথম সহকারি সম্বেলনে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথম সারির সমবায় সংস্থার প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে “সহকারিতার থেকে সমৃদ্ধির” উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে বাস্তব রুপ দিতে আজ ইন্দিরা গান্ধী ইনডোর স্টেডিয়ামে বক্তৃতা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয় কয়েক কোটি মানুষ। এদিন অমিত শাহ জানান, ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির ঘাটতি মেটাতে সক্ষম ভারত।এই উদ্দেশ্যে সকলকে একজোট হতে বলেন তিনি। তিনি এদিন সহকারিতা মন্ত্রকের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন,দেশের গরিব মহিলা,কৃষক ও পিছনে থাকা মানুষদের এগিয়ে নিয়ে এসে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্যই গঠিত সহকারিতা মন্ত্রক।তিনি এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন,দেশের সব গ্রামকে কো অপারেটিভের সঙ্গে যুক্ত করে আর্থিক সমৃদ্ধি বাড়াতে হবে।
সহ এবং কারিতা দুই মিলে সমগ্র দেশের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তিনি এদিন গুজরাটের আমূল সংস্থার কথা উল্লেখ করেন। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সময়ে গড়ে ওঠা এই ডেয়ারী সংস্থা প্রথমে ব্রিটিশদের কাছে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতো। ধীরে ধীরে নিজেদের বিপনন কেন্দ্র খুলে তারা ২০২০-২১ অর্থবর্ষে টার্নওভার ৩৩ হাজার কোটি পেরিয়েছে। ১৯৬৬ সালে ইফকো দেশে ৫৭ টি কো অপারেটিভ সংস্থা নিয়ে তাদের পথ চলা শুরু করে,আজ সেই সংখ্যা বেড়েছে ৩৬ হাজারে। সাড়ে ৫ কোটি কৃষক লাভবান হয়েছে ইফকোর দৌলতে। এদিন অমিত শাহ কৃষক ভারতী কো অপারেটিভ সংস্থার কথা জানান,যারা এক বছরে ৩১৮ কোটি টাকা লাভ করেছে। এদিন তিনি জোর দিয়ে বলেন,এমন দেশীয় সংস্থার হাত ধরলে আর বিদেশ থেকে ফসলের বীজ আনতে হবে না।বিদেশের কৃষকদের মত দেশের কৃষিভাইরাও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সাফল্য পাবেন। একমাত্র কো অপারেটিভ সংস্থার দ্বারাই দেশে কৃষি ও বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে শ্রী শাহ জানান।