
রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে তীব্র অনটন। কাজ নেই অজস্র মানুষের হাতে। এরই মধ্যে সুন্দরবন সহ বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় মাত্র দিন দশেক আগেই আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সব মিলিয়ে দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের ছবিটা। এই তীব্র অভাবের কারণে পেটের জ্বালা মেটাতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে সুন্দরবনে বাঘের শিকার হলেন মৎসজীবি। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কোস্টাল সুন্দরবনের মোল্লাখালি গ্রামে। বহুদিন ধরেই তীব্র অভাব অনটন চলছিল আনন্দ ধরের পফিবারে। রবিবার সকালে নদীতে কাঁকড়া ধরতে যাবেন বলে ঠিক করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে ও এক প্রতিবেশী। কিন্তু মৃত্যু যে ঘাপটি মেরে একপা একপা করে এগিয়ে আসছে তাঁর দিকে, তা বুঝতে পারেননি আনন্দবাবু। বাকি দুজনের চোখের সামনেই আচমকা আনন্দবাবুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। তাঁকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে জঙ্গলের দিকে। কোনোক্রমে বাঘের মুখ থেকে বাবার ক্ষতবিক্ষত শরীরটাকে উদ্ধার করেন আনন্দবাবুর ছেলে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা তাতে। উদ্ধার করে নিয়ে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হল তাঁর। এই ঘটনায় কার্যতই শোকস্তব্ধ মোল্লাখালি গ্রাম। গত সোমবার কাঁকড়া ধরতে গিয়ে গোসাবার সাতজেলিয়ায় বাঘের আক্রমনে প্রান যায় এক মহিলারও। এভাবে ৬দিনের মধ্যে বাঘের আক্রমনে ২জন মৎসজীবির মৃত্যুতে চিন্তিত বিশেষজ্ঞমহল। তাঁদের ধারণা ইয়াসের প্রভাবে প্রচুর জীবজন্তু মারা যাওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে জঙ্গলে,সেই কারণেই মানুষের উপর এত বারংবার আক্রমণ করছে বাঘ।