নারীদের অধিকার প্রসঙ্গে ফের নিজেদের ৯০ দশকের রূপে ফিরে গেলো তালিবান। আফগানিস্তান মন্ত্রিসভায় ভবিষ্যতেও কোনও মহিলার ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তালিবানের নয়া মুখপাত্র সৈয়দ জাখরুল্লা হাসিমি। আফগান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে হাসিমি জানান, “মন্ত্রিত্ব করা নয়,সন্তানের জন্ম দেওয়াই মহিলাদের কাজ। কিন্তু মেয়েদের মন্ত্রীত্ব করতে বাধা কোথায় এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “যার ভার তাঁরা বইতে পারবেন না তাঁদের (মহিলা) ঘাড়ে কি আপনি এমন দায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন? মন্ত্রিত্ব করা মহিলাদের কাজ নয়। তাই আমরা কোনও মহিলাকে মন্ত্রী করিনি। গত মঙ্গলবার নতুন সরকার গঠন করেছে তালিবানরা। কিন্তু সে ক্যাবিনেটে ঠাঁই পাননি একজন মহিলাও। কিন্তু আশরাফ গনির আমলে অনেক মহিলা বিভিন্ন রকম কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এমনকি প্রশাসনিক কাজ সামলাতেও দেখা গিয়েছিল অনেককে। অপরদিকে আফগানিস্তানে অর্ধেকেরও বেশি মহিলা। এ বিষয়ে হাসিমি বলেন,”আমরা তাঁদের অর্ধেক মনে করি না। গত ২০ বছর আমেরিকার মদতে গড়া সরকার মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নামে পতিতাবৃত্তি চালু করেছিল। আমরা তা হতে দেব না। তালিবানদের প্রতিশ্রুতি যে কোনোদিনই বিশ্বাসযোগ্য নয় এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই আফগান মহিলাদের। ক্ষমতা দখলের পরেই তালিবান সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রধান এমানুল্লা সামাগনি বলেছিলেন, “শরিয়তি আইনের পরিধির মধ্যে থেকে যদি মহিলারা প্রশাসন ও সরকারে অংশ নিতে চান তাঁদের স্বাগত।” কিন্তু এই কথার বাস্তবায়ন তো দূর মেয়েদের কোনরকম কাজেই যোগদান করতে বাধা দিচ্ছে তালিবানরা। বহু মহিলাকে বলপূর্বক নিজের চাকরি ছাড়তেও বাধ্য করেছে তালিবানরা।