২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বাবা করণা পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্কুল গুলি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু স্কুল শিক্ষকরা নিয়মিত ভার্চুয়াল সিস্টেমে ক্লাস করিয়ে যাচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীদের ।গতবছর অভিভাবকেরা ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলগুলি স্কুল ‘ফি’ বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। মাস দুয়েক আগে মামলার শুনানির পর আদালত থেকে অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুলের বকেয়া ‘ফি’র ৮০% টাকা জমা করতে হবে স্কুলগুলিতে। কিন্তু অভিভাবকরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্কুলগুলিতে বকেয়া বেতন জমা করেনি।কোভিড পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন বহু পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছে তেমনই বহু অভিভাবকরা আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল অথচ ফ্রী মেটাচ্ছে না স্কুলের। এই পরিস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলির পক্ষে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়ার দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন।

এদিন সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ , আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে অভিভাবকদের বকেয়া ‘ফি’র ৫০% জমা দিতে হবে। যদি কোন অভিভাবক এই আদেশ অমান্য করেন তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে পারবে। আদালতের, রায় বকেয়া ‘ফি’ না দিলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে অথবা জরিমানা বা সাসপেন্ড করাও হতে পারে।পাশাপাশি মাধ্যমিক এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে বোর্ডের শংসাপত্র দেওয়া হবে না। তাছাড়া এরপরও যদি কোন অভিভাবক আদালতের নির্দেশ না মানে তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে আগাম নোটিশ ছাড়াই স্কুল থেকে বিতাড়িত করতে পারে।বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেছে।