করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে এখন মোটামুটি একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গোটা পৃথিবীর অধিকাংশ বিজ্ঞানী এবং গবেষক। তাঁদের সবারই দাবী চিনের উহান প্রদেশের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোন ভাইরাস। কিন্তু উলটো রাস্তায় হেঁটে এই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে সম্পুর্ণ অন্য দাবী করতে শোনা গেল ভারতীয় বৈজ্ঞানিক দম্পতিকে। সম্প্রতি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর একটি দাবী করেছেন রাহুল বাহুলিকার এবং মোনালী রাহালকর নামের পুনে নিবাসী ওই গবেষক দম্পতি। তাঁদের দাবী করোনা ভাইরাসের প্রায় বছর সাতেক আগে একই রকম ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল চিনে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে গবেষণা করছিলেন তাঁরা। এই সময়ই তাঁদের হাতে আসে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। করোনার উৎস খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা খুঁজে বের করেন RATG13 নামের একটি ভাইরাসকে।
২০১২ সালে চিনে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের ভাব গতিক কার্যতই করোনা ভাইরাসের মতন। ২০১২ সালে দক্ষিণ চিনের মোজিয়াংয়ের তামা খনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৬ জন খনিকর্মী। তাঁদের শরীরে যে উপসর্গ দেখা গিয়েছিল তার সঙ্গে করোনার উপসর্গ মিলে যায়। ওয়াল স্ট্রিটের এক জার্নাল থেকে তেমনটাই জানতে পেরেছেন ওই দম্পতি। এমনকি আক্রান্ত ৬শ্রমিকের মধ্যে মারাও গেছিলেন ৩জন। খনিতে কাজ করার সময় বাদুড়ের মল থেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা। চিনা পালমনোলজিস্ট ঝং নানশানের সঙ্গেও কথা হয়েছে ওই দম্পতির। তিনিও স্বীকার করেছেন এই ভাইরাসের কথা। করোনার জন্ম এবং উৎস নিয়ে এহেন নতুন তথ্য সামনে আসার ফলে যে ভবিষ্যতে এই সম্পর্কিত গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে এবং রুখে দেওয়া সম্ভব হবে করোনার তৃতীয় এবং পরবর্তী ঢেউগুলি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।