১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ । তাই তার আগে আজ কাকভোরে যাত্রা শুরু করল করোনার টিকা ভর্তি তিনটি ট্রাক, যাত্রার পূর্বে নারকেল ফাটিয়ে করা হলো পুজো। তার পাশাপাশি নিযুক্ত করা হয়েছে জেড প্লাস সিকিউরিটি। হাতে মাত্র ৩ দিন, পরে শুরু হবে মহাসমারোহে টিকাকরণ। সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কারি মালবাহী গাড়িতে করে এই ভ্যাকসিন গুলোকে নিয়ে যাওয়া হয় পুনের বিমান বন্দরে। সেখান থেকে কার্গো বিমান। এই ট্রাকগুলিতে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন পুনে বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে মোট ৮ টি বিমানের মাধ্যমে ভ্যাকসিনকে ১৩ টি পৃথক স্থানে নিয়ে যাওয়া হল। আগেই জানা গিয়েছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কারি বিমানের মাধ্যমে আজি রাজ্যে রাজ্যে পৌঁছে যাবে এই সমস্ত টিকা। সূত্রের খবর অনুসারে আজি পশ্চিমবঙ্গেও আসছে কোভিশিল্ড টিকা।

সূত্রের খবর অনুসারে জানা যাচ্ছে আজি ১৩ টি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে করণা টিকা এই ১৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে কলকাতা চেন্নাই ব্যাঙ্গালোর হায়দ্রাবাদ। প্রসঙ্গত প্রত্যেকটি টিকার দাম ২০০ টাকা। পূর্বেই বলা হয়েছিল, প্রায় ৩০ কোটি মানুষের শরীরে দেওয়া হবে টিকা। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই তথ্য। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাজ্যের ৯৪১ কোল্ড চেইন পয়েন্টে পৌঁছে যাবে টিকা।
২ জানুয়ারি টুইট করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, প্রথম পর্বে দেশ জুড়েই বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক এবং করোনা যোদ্ধাদের৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২ কোটি করোনা যোদ্ধা৷ অন্যদিকে সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্য ৩০ কোটি মানুষকে টিকার দুটি করে ডোজ দিতে টিকা লাগবে প্রায় ৬০ কোটি এবং এই বিপুল পরিমান টিকা তৈরি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক একত্রে।