আজ হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে শুনানি হয় নারদা মামলার। এই শুনানিতে বিচারপতিদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সিবিআইয়ের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে। আজ হাইকোর্টে চার অভিযুক্তের জামিনের আর্জির শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন “২০১৩ থেকে শুরু হয়েছে মামলা, ৭ বছর ধরে নারদ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার প্রয়োজন মনে করলেন না। এতদিন পরে তাঁদের গ্রেফতার করলেন। তারপর তাঁরা যখন জামিন পেলেন। তখন আপনারা জামিনের বিরোধিতায় ব্যস্ত হয়ে উঠলেন কেন!” এরই উত্তরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন “গত সোমবার CBI অফিসের বাইরে বিশাল মানুষের জমায়েত হয়। যে কারণে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা যায়নি। দু’জন রাজ্যের মন্ত্রী আদালতে হাজির ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে CBI অফিসে এসে বসেছিলেন।বাধ্য হয়ে CBI ভার্চুয়াল ভাবে অভিযুক্তদের হাজির করার আবেদন করা হয়। সশরীরে কেস ডাইরি নিয়ে যেতে পারেঞ্জ। CBI অফিসের বাইরের ভয়ানক পরিস্থিতি ছিল। এর পর আমরা ৪০৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী স্থানান্তর করার আবেদন করা হয় হাইকোর্টে। যেটা মেল করে অর্থাৎ অনলাইনে এবং মৌখিক ভাবে আবেদন করা হয়েছিল।”
এই প্রেক্ষিতে চার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি পালটা প্রশ্ন তুলে বলেন ” অভিযুক্তেরা ১৭ তারিখ নিম্ন আদালতে জামিন পাওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেলেন না। তাঁদের জামিনে মুক্ত রাখা হবে কিনা, সেটাই এখন মেগা ইস্যু।” একইসঙ্গে জামিনের ওপর স্থগিতাদেশের মামলায় অভিযুক্ত পক্ষের কথা শোনা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই বিচারপতি সৌমেন সেন অভিষেক মনু সিংভিকে প্রশ্ন করেন, “আপনি বলতে চাইছেন, সেদিন ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতের নির্দেশ না দেখেই অর্ডার দিয়েছে?” উত্তরে সিংভি জানান “না, দেখা হয়নি।” CRPC এর ৪০৭ নম্বর ধারার বিস্তৃত ক্ষমতা রয়েছে। সেই ধারাকে শুধুমাত্র জামিনের আবেদন খারিজ করতে ব্যবহার করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও সিবিআইয়ের দিকে প্রশ্নবান ছুঁড়ে দেন বিচারপতি সৌমেন সেন। এই সওয়াল জবাবের পরই আজকের মতন শেষ হয়ে যায় নারদা মামলার শুনানি। আগামী বুধবার এই মামলায় চুড়ান্ত রায় শোনাবে হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চ।