ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। ইতিমধ্যেই এই বৃহত্তর বেঞ্চ বয়কটের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী মহল। এরমধ্যেই আজকের শুনানিতে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পড়ার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল রাজ্য। যদিও সে সিদ্ধান্ত খারিজ করে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। এই প্রসঙ্গে মৃত অভিজিৎ সরকারের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি বলেন, “কেন অতিরিক্ত সময় চাইছে রাজ্য? সময় দিলে প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাবে। পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজ্য তাদের উত্তর জানিয়ে দিয়েছে। তাহলে কেন সময় দেওয়া হবে?” মানবাধিকার কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জোর করছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে বেশি সময় দেওয়া হলে প্রয়োজনীয় নথি নষ্ট করা হতে পারে। অবশেষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর বেঞ্চের তরফে জানানো হয় “অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য রাজ্যকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। এর বেশি সময় দেওয়া হবে না।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মানবাধিকার কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ষোলটি গুরুতর মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে । তাই মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যেই তাদের রিপোর্টে ওই মামলাগুলি দাখিল করতে চায়। যদিও এই আবেদন সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের তরফ থেকে।পাশাপাশি আইনজীবিদের তরফ থেকে এই বেঞ্চকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জনস্বার্থ মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, “তিন মাস ধরে রাজ্যের মানুষ ভোট পরবর্তী হিংসায় ভুগছে, তাদের জন্য এই শুনানি অত্যন্ত জরুরি।”